বিনোদন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লন্ডনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলে বাংলাদেশের ৪০ জন তারকাশিল্পী, কলাকুশলীর পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নেওয়ার পর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিতে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির নাম জুবাইর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হুমকি পাওয়া শিল্পীরা হলেন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, আগুন, কনা, দিনাত জাহান মুন্নী, আঁখি আলমগীর, ইমরান, গীতিকার কবির বকুল, অভিনেত্রী সোহানা সাবাসহ ৪০ জন।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতে শিল্পীরা একটি জিডি করেছেন। আমরা তাদের অভিযোগ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখছি।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে লন্ডন থেকে জুবাইর নামের এক ব্যক্তি নিজেকে প্রবাসী বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিয়ে শিল্পীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে ‘বাংলাদেশ মেলা’নামে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। ঢাকায় এসে ওয়েস্টিন হোটেলে তাদের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
এর মধ্যে প্রায়ই জুবাইর পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে ফোন করে শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফোনে যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তি প্রায় ৪০ জন শিল্পীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের ফটোকপিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ফোন করে জুবাইর নামের ওই ব্যক্তি জানান যে, তিনি ফ্লাইটে উঠেছেন। ঢাকায় ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। সবাই যেন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে চলে আসেন। গতকাল নির্ধারিত সময়ে ৩৫-৪০ জন তারকাশিল্পী হোটেল ওয়েস্টিনে চলে আসেন। এরপরই মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে হোটেলে উপস্থিত সবাইকে বার্তা পাঠান ওই ব্যক্তি।
বার্তায় জুবাইর অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী এবং ওই অভিনেত্রীর ভাই প্রতারণা করে তার কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি অনেক শিল্পীর কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সবাই এড়িয়ে গেছেন। তাই শিল্পীদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করেছেন। তিন দিনের মধ্যে ওই দুজনের কাছ থেকে সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। তা না হলে কোনো শিল্পী যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করবেন বলে হুমকি দেন।
জিডি করার পরও শিল্পীদের হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বার্তা পাঠিয়ে হুমকি দেন, টাকা পেলে তিনি কারো কোনো ক্ষতি করবেন না। আর টাকা না পেলে পাসপোর্টের কপি দিয়ে কী করা যায়, সেটি টের পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে কেউ না কেউ ‘শেষ’হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।