মোঘল সুমন শাফকাত,বানারীপাড়া:
বানারীপাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েই চলছে অবৈধ বৌ গাড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি চালিত যানবাহন। অবৈধ এসব বাহন গুলো অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে তুলে দিচ্ছেন অর্থ লোভি এক শ্রেনীর মালিক পক্ষ। কোন প্রকার পূর্ব প্রশিক্ষন ছাড়াই এসব বাহন নিয়ে রাস্তায় নেমে পরছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত। এ কারনেই বিভিন্ন সময় ঘটছে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ব্যাস্ততম এলাকা,বাস স্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদের সামনের প্রধান সড়কের ওপরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ বৌ গাড়ি। সরেজমিনে দেখাগেছে বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই আনোয়ার হোসেন,জামাল,সুমন,মিলন ও সালেক নামের ৫জন মালিকের ওর্য়াকসপে নিয়ম নীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে অবৈধ এ গাড়িগুলো তৈরি করছেন দিনের পর দিন। উপজেলায় বৌ গাড়ি তৈরির ৬টি ওয়ার্কসপের মধ্যে ৫টি পৌর শহরের মধ্যে অপর একটি সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল ক্লাব সংলগ্ন বাবুর ওয়ার্কসপ। এদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানাগেছে ৬টি ওয়ার্কসপে প্রতিমাসে গড়ে ১৮/২০ গাড়ি তৈরি হয়। আর নিষিদ্ধ এ গাড়ি তৈরি করতে বিশেষ জায়গা ম্যানেজ করেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। বৌ নামক গাড়িগুলো তৈরিকরা নিষিদ্ধ হলেও ম্যানেজ প্রক্রিয়ার ফলে ছোট্ট এই পৌর শহরের সড়কে প্রতিদিনই নেমে পরে নতুন কোন বৌ গাড়ি। একটি পরিসংখ্যান ও বানারীপাড়া রিক্সা,ভ্যান ও বৌ গাড়ির শ্রমিক সংগঠন থেকে জানাগেছে বর্তমানে পৌর শহরে ভোরের আলো নামতে না নামতেই প্রায় ৫শতাধিক গাড়ি নেমে পরে সড়কে। এদের মধ্যে বৌ গাড়ির সংখ্যাই বেশি। আরও রয়েছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা,ভ্যান,ম্যাজিক গাড়ি,সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ ও নিষিদ্ধ টমটম ও ট্রলি। ছোট্ট এ শহরে ৫ শতাধিক গাড়ির আসা-যাওয়ায় সম সময়ই প্রধান সড়কে জ্যাম লেগেই থাকে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধরা। অপরদিকে সড়কে এতো বিপুল পরিমান গাড়ি চলাচল করলেও বরিশাল বিভাগের যেকোন এলাকার চেয়ে এখানকার চালকরা দিগুন ভাড়া আদায় করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারেনই এখানকার সড়কে এতো পরিমান গাড়ি চলছে। জানাগেছে কোন প্রকার জবাবদিহিতা না থাকার ফলে এ উপজেলার হালকা যানবাহনের চালক বা মালিকদের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে হালকা যানবাহনে ডিজিটাল হর্ণ লাগানোর ফলে পথচারিসহ যাত্রীদের শ্রবণশক্তি দিনের পর দিন মারাত্বক ঝুঁকির দিকে পতিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এদিকে সড়কের ওপরে বসে বৌ গাড়ি তৈরি করা হলেও প্রসাশনের দিক থেকে কোন প্রকার নজরদারি না থাকায় যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এখানকার সাধারণ মানুষ।