লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত আদালতে মামলা - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত আদালতে মামলা - Shera TV
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত আদালতে মামলা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ওবায়দুল কবির(সম্রাট):
খুলনার কয়রাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তৌহিদুর নামে এক ব্যক্তি  প্রতারণা  মূলক ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে । জানা যায়, কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে মহারাজপুর গ্রামের মোঃ করিম মোল্লা এর পুত্র মোঃ তৌহিদুর রহমান মানুষের সাথে   বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণায় হাতিয়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা লোন নিয়ে পরিষোধ না দেওয়ায় আদালতে মামলা হয় বলে জানা গেছে। প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তোহিদুর রহমান  একজন ‌‍ঠক, প্রতারক, বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে নিরীহ জনগণের টাকা পয়সা সহায় সম্পত্তি আত্মসাত করা একমাত্র নেশা ও পেশা তা আমরা এখন বুঝতে পারছি । দেশের প্রচলিত আইন কানুনের কোন তোয়াক্কা করে না। তার নামে মামলা চললে ও সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তোহিদুর রহমান  নিজেকে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসাবে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। জানা যায়,তোহিদুর রহমান কয়রার   শরিফুল আলম এর কাছ থেকে ৬ লক্ষ, কয়রার  মিজনুর রহমান এর কাছ থেকে ৫ লক্ষ, খুলনার সরোয়ারের কাছ থেকে ১ লক্ষ, খুলনার আক্তারুজ্জান নান্নু কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, ওসিখার এর কাছ থেকে ২ লক্ষ হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা জানান। এছাড়া প্রতারক তোহিদুর রহমান রুপালি ব্যাংক খুলনা করর্পোট শাখা থেকে ৫ লক্ষ ৫০০০০ হাজার টাকা

সোনালী ব্যাংক কালিয়া শাখা থেকে ৪ লক্ষ ৫০০০০ হাজার, বুরো বাংলাদেশ কালিয়া শাখা থেকে ১ লক্ষ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক এর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
শরিফুল আলম জানান আমরা কলেজে একসাথে পড়শুনা করার করনে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হয়। সে বিপদের কথা বলে টাকা ধার নেয়। টাকা নেওয়ার সময় তোহিদুর রহমান বলেন, জরুরী ভিত্তিতে তাহার টাকার খুবই প্রয়োজন নগদ ৬ লক্ষ টাকা না হলে তোহিদুর রহমানের অপূরণীয় ক্ষতি হইবে ও মান সম্মান নষ্ট হইবে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হইবে। শরিফুল  অপরাগতা প্রকাশ করিলে পরবর্তীতে প্রতারক তোহিদুর রহমান অনেক অনুনয় বিনয় করায়  কঠিন বিপদের কথা চিন্তা করিয়া ইং ২৪/০৮/১৭ইং তারিখ ৬ লক্ষ টাকা ধার হিসাবে দেন। কথা ছিল ধার নেওয়া টাকা ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ করিয়া দিবে। টাকা নেওয়ার সময় একখানা চেক প্রদান করেন যাহার হিসাব নং , ৯৯৯০১৬১১৫ ।
চেক নং- গঠ ৩৮১৯১৭৫, তারিখ: ২৪/০৯/২০১৭ইং সোনালী ব্যাংক কালিয়া শাখা। টাকার পরিমাণ ৬ লক্ষ, চেক প্রদত্ত তারিখে শরিফুল আলম তোহিদের সাথে যোগাযোগ করিলে তোহিদুর শরিফুলকে  আর কিছুদিন অপেক্ষা করিতে বলে এই বলে কালক্ষেপন করিতে থাকায় সর্বশেষ ১০/১০/২০১৭ইং তারিখ শরিফুল  তাহার স্থানীয় সোনালি  ব্যাংক কয়রা শাখায় চেক জমা করিলে অপর্যাপ্ত তহবিল লিখে নগদায়ন না হইয়া ফেরত আসে। অবশেষে শরিফুল বিগত ৩০/১০/২০১৭ইং তারিখ তাহার নিয়োজিত বিজ্ঞ কৌশলির মাধ্যমে আইনগত নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ ফেরত আশিলে শরিফুল তোহিদুর রহমানের নামে  এন আই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত খুলনায় একটি মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং দায়রা ৬১৩/১৮ ইং (খুলনা), তারিখ ঃ ০২/০১/২০১৮ইং। এবং ৩০/০৪/২০১৯ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত তোহিদুর রহমানকে উক্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকে উল্লেখিত ৬ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করেন। এ বিষয় মামলার বাদী শরিফুল আলম  নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান তোহিদুর রহমান একজন বিশিষ্ট প্রতারক তাহার মিষ্টি কথার ফাঁদে পড়ে ৬ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। তাকে অনেক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরো জানান আমার মতো কয়রায় ও জেলা শহর খুলনাতে  আরো অনেক লোককে  প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ২০-৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে মিজানুর রহমান নামে একটি লোক  ৫ লক্ষ টাকার অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে জানান তোহিদুর রহমান আমার সাথে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। সে জায়গা কিনতে কিছু টাকা কম পড়ায় আমার কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করার পর চেক দিয় আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু দিতে তালবাহনা করে। আর কোন উপায় না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হই। মিজানুর রহমান আরো জানায় তোহিদুর রহমান অনেকের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে। এখন বুঝছি সে  একজন প্রতারক, ভন্ড, প্রতারণা করা তার পেশা এবং নেশা। এ বিষয়ে তোহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠো ফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তোহিদুর রহমান নড়াইল  কালিয়া, মধুমতি কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এ ব্যাপারে তোহিদুর রহমানের কলেজের প্রিন্সিপাল রাধুলাল মুখার্জীর কাছে তোহিদুর রহমান সম্মন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোহিদুর রহমান বেশ কিছু দিন যাবত অনিয়মিত। বিগত ২ মাস কলেজে আসেন না। আমরা কয়েক বার নোটিশ পাঠিয়েছি, শুনেছি কিছু লোক তার কাছে টাকা পাবে আমার কাছে বিভিন্ন সময় তার ব্যাপারে জানতে চেয়েছে শুনেছি তার নামে মামলাও হয়েছে। বর্তমানে তিনি কোথায় থাকেন কি করেন আমার জানা নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360