স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেট মানুষের মাথার খুলি ও হাড় বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। ঢাকার এই সিন্ডিকেটের কাছে পাচার করার সময় ঠাকুরগাঁওয়ের কান্তি পরিবহন নামের একটি বাসের ভেতর থেকে ৩ জন মানুষের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ৪টি বস্তায় ভরা ছিল। মুকুল হোসেন নামের ওই পাচারকারী মিথ্যা তথ্য দিয়ে ‘আলুর বস্তা’ হিসেবে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়ের বস্তাগুলি পরিবহনের বাক্সে বুকিং দেয়। কাউন্টারে সন্দেহ হলে বস্তা খুলে দেখা যায় বহু মানুষের হাড়সহ মাথার খুলি। কান্তি পরিবহন নামের ওই বাসটি ঢাকায় উদ্দেশ্যে যাবার জন্য নির্ধারিত ছিল। কাউন্টারের লোকজন মুকুলকে আটক করে স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে বসিয়ে রাখে। পরে সেখান থেকে এক সময় সে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। উদ্ধার করা ৪টি বস্তার ভেতরই মানুষের হাড়গুড় এবং মাথার খুলি রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি বাজার এলাকা ৩ জন মানুষের মাথার খুলিসহ চার বস্তা হাড় উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার সময় স্থানীয় ভুল্লি বাজারে ঢাকাগামী কান্তি পরিবহন নামে একটি নাইট কোচের কাউন্টার থেকে মানুষের মাথার খুলিসহ হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়।
ঠাকুরগাঁও থানার এসআই আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শনিবার জব্দকৃত মাথার খুলি ও হাড় কবর থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলো মুকুল। ঢাকার কয়েকটি সিন্ডিকেট আছে যাদের কাছে এগুলো সে বিক্রি করে আসছিল বলে জানায়। পুলিশ জানায়, ভুল্লি বাজারে কান্তি পরিবহনে ঠাকুরগাঁও শহরের তেলীপাড়া এলাকার মুকুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ওই ৪টি বস্তায় আলু আছে বলে বুকিং করে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো।
তবে যাত্রীবাহী ওই গাড়িটি রংপুর কাউন্টারে পৌঁছলে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে আলুর বস্তা খুলে দেখে তারা হতবাক। পরিবহনের বাক্সে রক্ষিত ৪টি বস্তায়ই মানুষের মাথার খুলি, হাত- পায়ের হাড়, পাজরের হাড় ছিল। পরে কান্তি পরিবহনের লোকজন গাড়ীটি ঢাকায় না পাঠিয়ে আবার তারা ঠাকুরগাঁও কাউন্টারে ফেরত পাঠায়। সেখান থেকে এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানায়, মুকুল-এর আগেও আলুর বস্তা বলে ঢাকায় এভাবে মানুষের হাড়, মাথার খুলি পাচার করে আসছিল।