স্টাফ রিপোর্টার:
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক জি কে শামীম ও যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সাথে ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত জুয়ার উপকরণ ও মদ ও মাদকজাতীয় পণ্যের আমদানি তথ্যও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, যারা ক্যাসিনো চালাচ্ছেন তাদের আয় ব্যয়ের তথ্য জানা দরকার। আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে বিপুল অর্থেরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব তথ্য তাদের আয়কর নথিতে দেয়া আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তাই সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেল-সিআইসিকে এসব তথ্য তদন্ত ও ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করতে বলা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাসিনোতে জুয়ার যেসব উপকরণ ও মদ ও মাদকজাতীয় পণ্য ব্যবহার করা হয় এসব আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য। তাই এগুলোর যথাযথ তদন্তের জন্য শুল্ক গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে গত বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর গুলশান-২ এ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ফকিরাপুল এলাকায় ইয়াং ম্যান্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীমকে তার ৭ দেহরক্ষীসহ আটক করেছে র্যাব। সে সময় তার অফিসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ পৌনে ২ কোটি টাকা, ১৬৫ কোটি টাকা এফডিআরের নথি, বৈদেশিক মুদ্রা, মাদক ও অস্ত্র। ১৬৫ কোটি টাকা এফডিআরের মধ্যে মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও নিজের নামে ২৫ কোটি টাকা।