হাসান মাহমুদ:
ক্যাসিনোর টাকার বিরাট একটা অংশ বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতা পেয়ে আসছিলেন বলে বিভিন্ন অভিয্গো উঠেছে। এই কানেকশনে জড়িত বিএনপি নেতাদের নাম আসতে শুরু করায় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন এমন গুঞ্জন দলের উচ্চ মহলে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বিভিন্ন অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে গোপনে জড়িত এমন অভিযোগ শুরু থেকেই ছিল। যুবলীগ দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে কারা কারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করেছে বলে জানা যায়। খালেদ বর্তমানে ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেছেন, ক্যাসিনো দুর্নীতির সঙ্গে বিএনপির অনেক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। অবৈধ ক্যাসিনোর অর্থ গোপনে তারা পেত। জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপির যারা দুনীতিগ্রস্ত এবং যাদের বিরুদ্ধে দুনীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, আপনাদের এত খুশি হওয়ার কারণ নেই। আমরা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে; প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সে অভিযান অব্যাহত আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে জিরো টলারেন্সনীতি এখনও অব্যাহত আছে এবং থাকবে। দুর্নীতি হতে পারে, অনৈতিক কাজ হতে পারে কিন্তু আমরা সেটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছি কি না সেটা বিবেচ্ছ্য বিষয়।
জি কে শামীমের পরিচয় তুলে ধরে হানিফ বলেন, জি কে শামীম কে? জি কে শামীম তো মির্জা আব্বাসের হাত দিয়েই উঠে এসেছে। তিনি যখন পূর্তমন্ত্রী ছিলেন তখনই জি কে শামীমের উত্থান। এখন যখন ধরা পড়েছে তখন বিএনপি নেতারা বলছেন তাকে চিনেন না। জি কে শামীমের যে ডায়রি পাওয়া গেছে সেখানে কাকে কত টাকা দেন তা আজ আমরা একটি অনলাইন গণমাধ্যমে জানতে পেলাম। জি কে শামীম নিয়মিতভাবে টাকা দিতেন তিন শীর্ষ নেতাকে। তবে তারমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খানের নাম পাওয়া গেছে। বিএনপির আরও অনেক নেতা আছে।