পূজার সাজে ৫ দিনে পাঁচ রূপ! - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
পূজার সাজে ৫ দিনে পাঁচ রূপ! - Shera TV
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন

পূজার সাজে ৫ দিনে পাঁচ রূপ!

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের সময়, শারদীয় দূর্গা পূজা এসে গেছে আবার বছর ঘুরে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে মহোৎসবের আয়োজন। মূল পূজার উৎসব চলে পাঁচ দিন। ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি। প্রতিটা দিনেই ভিন্ন ভিন্ন সাজে নিজেকে দেখার সুযোগ থাকে এই পূজার উৎসবে। শাড়ি পরার দারুণ এক উপলক্ষও বটে দূর্গা পূজার সময়টা। পূজার উৎসবে শাড়িতে নারীর পাঁচ দিনের সাজ নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

ফেসিয়াল করতে-করতে পার্লারের দিদির হাতে কড়া পড়ে যাওয়ার জোগাড়৷ আর আপনি সংসার-অফিস-বস-স্বামী-ছানাপোনা সামলে শনি-রবিবারের দুপুরের ভাতঘুমের সময়টা কাটাচ্ছেন হয় দরজির সামনে ডিজাইনের বই ঘেঁটে, নয়তো শপিং মলে প্যাকেট সামলে, নয়তো পার্লারের স্পা চেয়ারে৷

মোট কথা, সে একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি৷ একটু এদিক থেকে ওদিক হওয়ার যো নেই৷ সব না হয় হল। প্রস্তুতি পর্বটা না হয় ভালই সমাধান হল। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচ? মানে, পুজোর পাঁচদিন? তখন তো আর রোজ-রোজ পার্লারে ছুটতে পারবেন না৷ তখন মেকআপের গুরুদায়িত্বটি সামলাবে কে? সারা বছর তো মেকআপের দিকে আমরা কেউই তেমন নজর-টজর দিই না৷ওই কোনও অনুষ্ঠানে, পয়লা বৈশাখ কিংবা কোনও বিয়েবাড়ি এলে একটু-আধটু পোঁচ মারি মুখে৷ কিন্তু পুজোর সময় তো সেলফি রেডি মুখ চাই৷ আর সেই কাজেই আপনাকে সাহায্য করতে নিয়ে এসেছি সমাধান৷ এখানে দেওয়া হল একটি সুবিন্যস্ত মেকআপ গাইড, যেটি আপনি কালোই হোন বা ফরসা, আপনার ত্বক তেলতেলেই হোক কিংবা শুকনো, আপনার কাজে আসবেই৷

তৈলাক্ত ত্বক: অতিরিক্ত তেল ত্বক থেকে বেরনো বন্ধ করতে বেস হিসেবে প্রথমেই লাগান প্রাইমার৷ তবে কোনও বেস প্রোডাক্টই হাত দিয়ে লাগাবেন না৷ আপনি এক্সপার্ট না হলে কোনওদিন আঙুলের ডগা দিয়ে ভালো করে মেকআপ বসাতে পারবেন না৷ তাই বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন৷ ভালো করে সারা মুখে সমানভাবে প্রাইমার লাগান৷ এটি আপনাকে ম্যাট লুক দিতে সাহায্য করবে৷

যদি আপনার ত্বকে কালো ছোপ বেশি থাকে, তা হলে এর পর আপনাকে ব্যবহার করতে হবে কনসিলার৷ ম্যাট কলসিলার নিন৷ যেখানে-যেখানে দাগ-ছোপ আছে, সেখানে ছোট-ছোট টিপ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন৷ এরপর আসবে ফাউন্ডেশনের পালা৷ এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন৷ যদি আপনি দিনের জন্য মেকআপ করছেন, তা হলে ফাউন্ডেশন স্কিপ করতে পারেন৷ প্রাইমার-কনসিলারের পর কম্প্যাক্ট পাউডারের ছোঁওয়া পেলেই হল৷

তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হল ফাউন্ডেশন ব্যাপারটা৷ কারণ, এটির উপরেই আপনার পুরো মেকআপ টিকে থাকবে৷ আর এটাই মেকআপের শেষ লেয়ার৷ তাই ভেবেচিন্তে সেরা প্রোডাক্টটি কিনুন আর সেটিকে সময় নিয়ে, যত্ন করে ব্লেন্ড করুন সারা মুখে ও গলায়৷এর পর বেস শেষ করুন ট্রান্সলুসেন্ট পাউডারের ছোঁওয়া দিয়ে৷ খবরদার, পাউডারের সঙ্গে দেওয়া পাফটি ব্যবহার করবেন না৷ কিনে নিন একটি পাউডার ব্রাশ, যেটি দিয়ে হালকা করে পাউডার লাগান মুখে ও গলায়৷ মনে রাখবেন, এই পাউডার লাগানো হয় আপনার লুকটিকে আরও ম্যাটিফাই করার জন্য৷ ফরসা দেখানোর জন্য নয়৷ তাই একগাদা ভুলেও লাগাবেন না যেন৷কন্টোরিং করার জন্য বেছে নিন ব্লাশ অন৷ কারণ, আমরা কেউই প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট নই৷ ফলে পটু হাতে কন্টোরিংয়ের লাইন টানাটা প্রায় অসম্ভব৷ তার চেয়ে চিক বোনের উপরে হালকা ব্লাশের ছোঁওয়া বরং ঢের ভাল এবং সাবধানীও বটে৷

শুষ্ক ত্বক: বেস হিসেবে যা-যা আপনারা ব্যবহার করবেন, মানে, প্রাইমার, কনসিলার, ফাউন্ডেশন কিংবা পাউডার, সবই হতে হবে অয়েল বেসড, কারণ আপনার ত্বকে সারা দিন ধরে তারা জরুরি তেলটুকু যোগাবে এবং মেকআপে লাইন পড়তে দেবে না৷ মেকআপের আগে ক্লেনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিং রুটিন একই হবে৷ শুধু আপনারা ব্যবহার করবেন ক্লেনজিং মিল্ক, রোজ টোনার এবং হালকা, অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজার৷হালকা, কারণ, পরের অন্য প্রোডাক্টগুলিও আপনি অয়েল বেসডই ব্যবহার করবেন৷ প্রাইমার আপনাদের জন্য জরুরি নয়৷ তবুও যদি মনে হয়, প্রাইমার লাগালে আরও একটু ভরসা পাবেন, তা হলে হালকা করে লাগান, যাতে একটা পরত পরে না যায়৷ কনসিলার লাগাতেই হবে দাগ-ছোপ ঢাকার জন্য৷ তাই অয়েল বেসড কনসিলার বেছে নিন৷ খুব ভালো করে বিউটি ব্লেন্ডার কিংবা কনসিলার ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে দিন প্রাইমারের সঙ্গে

তবে কনসিলার আমরা বলছি বলেই আপনাকে সেটা ঠুসে লাগাতে হবে, তা নয়৷ মুখে দু-একটা ব্রণ থাকলে প্লিজ কনসিলার লাগাবেন না৷ জানবেন, মিনিমাম মেকআপ ইজ দ্য বেস্ট৷ফাউন্ডেশন লাগাতেই হবে এবং ভালো, অয়েল বেসড ফাউন্ডেশন৷ ত্বকের সঙ্গে রং মিলিয়ে৷ ফাউন্ডেশন ব্রাশ অথবা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন৷ তারপর অল্প একটু জল স্প্রে করে নিন, যাতে সেটি জায়গামতো বসে যায়৷ শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে বেস মেকআপ এখানেই শেষ৷ পাউডারের কোনও প্রয়োজন নেই৷

তৈলাক্ত ও শুষ্ক দুই ধরণের ত্বক: ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের পাট চুকলে বেস শুরু করুন প্রাইমার দিয়ে৷ প্রাইমার লাগাতে হবে দুই ভাবে৷ টি জোনে একটু মোটা করে আর বাকি মুখে হালকা হাতে৷ কারণ নাকের দুই পাশ যেহেতু তৈলাক্ত, তাই ওখানকার ছিদ্রগুলি বন্ধ করাটা বেশি জরুরি৷বাকি মুখের ত্বক আবার শুষ্ক, তাই সেখানে অতিরিক্ত প্রাইমারের প্রয়োজন নেই৷এরপর আসবে কালার কারেক্টিং কনসিলারের পালা৷ কালার কারেকশনের প্রয়োজন আছে কারণ, আপনার মুখের বিভিন্ন জায়গায় ত্বকের ধরন বিভিন্ন৷ ফলে নাকের দুই পাশের চেয়ে মুখের বাকি অংশের ত্বকের রংও আলাদা হবে৷ কনসিলার যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে প্রয়োজন হলে দুই পরত লাগান৷এই ধরনের ত্বকে বেস মেকআপের জন্য দরকার বিল্ড আপ ফাউন্ডেশনের৷ মানে, যে ফাউন্ডেশন প্রয়োজনে কোনও জায়গায় দুই পরত লাগানো যায়, কিন্তু তাতে রং মেলানোতে কোনও সমস্যা হয় না৷ বিউটি ব্লেন্ডারে ফাউন্ডেশন নিয়ে ভাল করে প্রয়োজন অনুযায়ী তৈলাক্ত জায়গায় কম এবং শুষ্ক জায়গায় বেশি করে লাগান৷ তা হলে মুখে সমান টোন আসবে৷আপনাদের ক্ষেত্রে এরপরে প্রয়োজন হবে হাইলাইটারের৷ কারণ যতই ভালো করে মেকআপ করুন, পরে যদি কোনও সময় নাকের পাশে তেল ফুটে বেরোয়, তা হলে তার সঙ্গে যেন বাকি মুখের সামঞ্জস্য থাকে৷ তাই চিকবোনের উপর দিয়ে হনু পর্যন্ত হাইলাইট করুন শিমারি হাইলাইটার দিয়ে, তারপর ভালো করে ব্লেন্ড করে দিন৷ আর হ্যাঁ, আপনারাও পাউডার স্কিপ করুন৷

মডেল:সাবরিন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360