অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকায় ক্যাসিনোতে অভিযানের পর বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। সম্রাট, খালেদ, জি কে শামিমের পর আলোচনায় আসতে শুরু করেছে বিকল্প ধারার মাহি বি চৌধুরীর নাম।
মাহি বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর অভিযোগ বর্তমানে তদন্ত করছে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মাহি বি চৌধুরী প্রায় ১৩২ কোটি টাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছেন। ছেলের শিক্ষা খরচের নামে পাঠানো এই টাকাগুলো বিদেশে পাচার হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাহি বি চৌধুরী এবং তার স্ত্রী আশফাহ হক লোপার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে। যেকোনো সময়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হবে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাহি বি চৌধুরীর দুটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে তিনি একটি কোম্পানির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে এই অর্থ তিনি কীভাবে বিদেশে পাঠিয়েছেন, তা নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখন তদন্ত করছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে মাহি বি চৌধুরী এই সম্পদ বানিয়েছেন। আর এই টাকাগুলো তিনি হুন্ডির মাধমে বিদেশে পাচার করেছেন বলেও জানা গেছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরও বলছে যে, প্রাথমিক তথ্যগুলোর আরও কিছু প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে মাহি বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।