নিউজ ডেস্ক:
ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নদীর পানি বেড়ে যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তার মূল কারণ অতিবর্ষণ; ফারাক্কা বাঁধ নয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে ফারাক্কা বাঁধের কয়েকটি গেট খুলে দেয় ভারত। তখন থেকে বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। সোমবার ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয় ভারত সরকার। এ অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। আগে ছেড়ে দেয়া পানিতে ডুবে যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির বিভিন্ন ফসল। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। অনেক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছে পানি।
পাশাপাশি বাড়ির চারপাশে পানি ওঠায় গবাদিপশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকেই আবার নৌকার ওপর বসবাস করছেন।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ফারাক্কা বাঁধ খোলার পর যে হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে দু’চারদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে আশা করা যায়।
শিবগঞ্জ উপজেলার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম।
এছাড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আলাতুলী ইউনিয়ন পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তবে কিছু কিছু এলাকায় এখনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থাকলেও কারও কারও মাঝে ত্রাণ পৌঁছায়নি। অনেকেই কোথাও যেতে পারছেন না, ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।