দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প। মহাকাশ নিয়ে গবেষনার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম পদক্ষেপ পুরোনো হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম আয়োজিত হল স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প। যা বাংলাদেশের ক্ষুধে বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ গবেষনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলে আশা আয়োজকদের।
মহাকাশ, মহাকাশ গবেষণা, রকেট প্রযুক্তি, রকেট উড্ডয়ন থেকে শুরু করে তা বানানোসহ নানান বিষয়ে দুই দিনব্যাপী ওই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং নাসা প্রবলেম সলভার বাংলাদেশের আয়োজনে ক্যাম্পটি রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর শনিবারও দিনব্যাপী চলে ক্যাম্পটি।
এই দুই দিন শিশু-কিশোররা কিভাবে রকেট তৈরি করতে হয়, সেটা কিভাবে মহাকাশে পাঠাতে হয় এর খুঁটিনাটি শেখে। এমনকি ক্যাম্পানটির মাঠে ডামি রকেট তৈরি করে তা উড়িয়েছেও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও ক্যাম্পে মহাকাশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচন করা হয়েছে। তা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখানোও হয়েছে আয়োজনে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সকালে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি (সিআইডি) আব্দুল কাহার আকন্দ ও সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ, নাসার সাবেক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আজাদুল হক, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ডেল এর পরিচালক (সলিউশনস আর্কিটেকচার) মোহাম্মদ মাহদি উজ জামান।
এছাড়াও শিশু-কিশোরদের উৎসাহ দিতে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবলেম সলভার বাংলাদেশের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, শিশু-কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ভবিষতে বাংলাদেশ থেকেই স্পেস সায়েন্টিস্ট ও রকেট সায়েন্টিস্ট গড়ে তোলার লক্ষ্য আমাদের এই আয়োজন। এটা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, এবারের আয়োজনে তারা যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন এবং পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোর এতে অংশ নিয়েছে। যারা অনেক ভালো করেছে বলে জানান তিনি।
এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে আরিফুল হাসান বলেন, আমরা দেশে একটি স্পেস সিটি তৈরি করতে চাই। এছাড়াও মহাকাশ নিয়ে গবেষণার জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য ল্যাব তৈরির কথা জানান তিনি।
এবারের আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলো সিনেসিস আইটি, সিসটেক ডিজিটাল, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টার বাংলাদেশ, ঢাকা কাস্ট এবং লাইভ টু ওয়েব