অনলাইন ডেস্ক:
বিদেশে অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইনে ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেলিমের দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোমান।
অর্থ পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। অন্যদিকে সেলিম ও রোমানের পক্ষে আইনজীবী ইয়াসিন জাহান ও আক্তারুজ্জামানের পক্ষে নজরুল ইসলাম মামুন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন সেলিমসহ তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে অর্থ পাচার আইনের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। শামীমের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন অর্থ পাচার ও মাদক আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে খালেদকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে খালেদের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।