দেশর সবাই যখন আবরারকে নৃশংস ভাবে হত্যায় স্তম্ভিত ঠিক তখনই আবার ও নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল এক শিশুক। এবার সুনামগঞ্জে চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ গেল ৫ বছর বয়সের শিশুর। জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে এঘটনা ঘটে। ভোরে কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে তুহিনকে চরম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে খুনিরা। শুধু তাই নয়, কেটে নেয় ২টি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। এমন নৃসংশতা হয়তো এর আগে কখনও দেখেননি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামের মানুষ।
পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া রোববার রাতের খাবারের পর পরিবারের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে সে। রাতের একপর্যায়ে ঘরে তুহিনকে না পেয়ে শুরু হয় খুঁজাখুঁজি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাড়ির পাশের রাস্তায় রক্ত দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। শুধু তাই নয়, কেটে নেয়া হয়েছে কান ও লিঙ্গ। পেটে আটকানো ছুরিতে নাম লেখা আছে ছালাতুল ও সোলেমান।
ছেলে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন তুহিনের মা। জানান, জমি নিয়ে গ্রামের কিছু মানুষের সাথে বিরোধ আছে তাদের। তবে কে বা করা তুহিনকে হত্যা করেছে তা জানেন না তারা।
কী কারণে এমন নৃসংশতা, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এই হত্যার বিষয়ে অনেকে তথ্য পাওয়া গেছে। দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে আসামিদের।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবাসহ ৭ জনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।