প্রথমে বিভিন্ন ভারতীয় গণ মাধ্যম সূত্রে বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য হত্যার খবর শোনা গেলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে আসল সত্য।
জানা যায় গত ১৭ই অক্টোবর আনুমানিক ১০ঃ৪০ ঘটিকার সময় রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত চারঘাট বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন হতে পদ্মা নদীর পাড়ে আনুমানিক ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩ জন জেলেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। এসময় বিজিবির চারঘাট বিওপি’র টহল দল মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ট আবু রায়হান এবং আরও দুই জন সহকারীসহ ঘটনাস্থলে গমন করে ১ জন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ আটক করতে সক্ষম হয় এবং বাকী ২ জন জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ বিএসএফ এর ১৭১ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি হতে স্পীডবোট করে ৪ জন বিএসএফ সদস্য রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে আনুমানিক ৬৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে চারঘাট বিওপির টহল দল তাদেরকে বাধা প্রদান করে। এখানে উল্লেখ্য যে, ঐ চার জনের মধ্যে ১ জন বিএসএফ সদস্য ইউনিফর্ম পরিহিত থাকলেও বাকিরা হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত ছিল। আরও উল্লেখ্য যে, বিএসএফ টহল দলের নিকট অস্ত্রও ছিল।
পরবর্তীতে বিএসএফ উক্ত জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়ম মাফিকভাবে ফেরত প্রদান করা হবে বলে বিজিবি টহল দল কর্তৃক জানানো হয়। এছাড়াও বিজিবি টহল দল বিএসএফ সদস্যদেরকে আরও জানায় যে, আপনারাও অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, তাই আপনাদেরকেও নিয়ম অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএসএফ সদস্যরা আতংকিত হয়ে জোরপূর্বক ধৃত জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা প্রদান করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ফায়ার করে এবং ফায়ার করতে করতে স্পীডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকে। তখন বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে ফায়ার করে। এ বিষয়ে অধিনায়ক রাজশাহী ব্যাটালিয়ন এবং কমান্ড্যান্ট ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে জানা যায় যে, উক্ত ঘটনায় বিএসএফ এর ১ জন সদস্য নিহত এবং ১ জন সদস্য আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিটিং-এ উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এছাড়াও এ বিষয়ে আরো আলোচনার জন্য আবারো পতাকা বৈঠক করার ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছেন। আলোচ্য পতাকা বৈঠক শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।