সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পর ও কাজ হচ্ছেনা। পেয়াজের আকাশ্চুম্বি দাম নাগালে আনা যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তার প্রভাব বাজারে সাধারণ মানুষের উপলব্ধি হচ্ছেনা। কয়েকদিনের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০-২৫ টাকা। আর দেশিটির দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। বিশ্লেষকের মতে, আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো, বাজারে সক্রিয় নজরদারিসহ বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেঁয়াজের দাম সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়ার পর গেল সপ্তাহে কিছুটা কমতে শুরু করে। এতে করে কিছুটা স্বস্তি ফেরে বাজারে।
তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে স্বস্তি রূপ নিয়েছে অস্বস্তিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বাড়তি এই নিত্যপন্যের দাম। এ সময়ে আমদানি করা পেয়াঁজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০-২৫ টাকা। বর্তমানে কারওয়ান বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকায়। মিয়ানমার ও মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে ৭৪-৭৮ টাকায়।
শ্যামবাজারে পাইকারীতে দেশী পেঁয়াজ ৮০-৮৫ আর কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৯৫ টাকায়। বিভিন্ন এলাকার খুচরা বাজারে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা।গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় পৌনে দুইশ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই নিত্যপণ্য। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে অসন্তুষ্টি।