লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ঠোটে চুমু দেয়া ভালোবাসার অন্তরঙ্গ প্রকাশ। আবার এই অন্তরঙ্গতার মাধ্যমে আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারে একাধিক অসুখ। তার মধ্যে এমন ভাইরাল অসুখ রয়েছে যার কোনো চিকিত্সা নেই। মাত্র ১০ সেকেন্ডের চুমুতে শরীরে ঢোকে ৮০ মিলিয়ন মানে ৮ কোটি ব্যাক্টেরিয়া।
আসুন ৮টি অসুখ সম্পর্কে জেনে নেই –
১) শ্লেষ্মাজনিত ঘা : ঠাণ্ডা লেগে বা ঋতু পরিবর্তনের সময় মুখের অভ্যন্তরে ঘা হলে সঙ্গীকে লিপ কিস না করাই ভালো।অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপরের ঠোঁটে বা উপরের ঠোঁট ঘিরেই এই ঘা হতে দেখা যায়। এমতবস্থায় ঠোঁটে চুমু সঙ্গীর শ্লেষ্মাজনিত ঘা হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
২) স্ট্রেপ থ্রোট : এর কারণ স্ট্রেপ নামে এক ব্যাক্টেরিয়া। বাতাস বাহিত হলেও চুম্বন থেকেও ছড়াতে দেখা যায়। আক্রান্তের হাঁচি থেকেও নিস্তার নেই। স্ট্রেপ থ্রোটের প্রধান লক্ষণ হল গলা ব্যথা, সঙ্গে ১০০.৪ ফারেনহাইটের বেশি জ্বর।
৩.এইচএফএমডি: এইচএফএমডি হল ভাইরাল সংক্রমণ।মূলত মুখের ঘা থেকেই এ রোগ ছড়ায়। ঘনিষ্ঠ চুমু থেকেও সংক্রামিত হওয়ায় প্রবল সম্ভাবনা থাকে।বাচ্চাদেরই বেশি আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে।
৪ মনোনিউক্লিওসিস : একে কিসিং ডিজিজ বলে। লালার মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। যার জন্য দায়ী ভাইরাস। এখনো পর্যন্ত এর কোনো চিকিত্সা নেই।
৫. পেরিওডন্টাইটিস : দাঁতের এই অসুখ লালা থেকে ছড়াতে পারে। শুধু যে চুমু থেকেই ছড়ায় তা নয়, একই খাবারের টুকরোয় কামড় বসিয়ে বা দাঁত মাজার ব্রাশ থেকেও ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়।
৬. মেনিনজাইটিস : মেনিনজাইটিস হল মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের আচ্ছাদনকারী পর্দা মেনিনজেসের তীব্র প্রদাহ। মূলত জীবাণুর সংক্রমণের কারণেই এ প্রদাহ। মেনিনজাইটিসের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকিও অনেক বেশি। মনে রাখবেন, চুম্বন থেকেও ভাইরাল মেনিনজাইটিস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। যদিও ব্যাক্টেরিয়াল মেনিনজাইটিসের থেকে ভাইরালের তীব্রতা কম।
৭. মাম্পস : মাম্পস সরাসরি লালাগ্রন্থিতে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। গ্রন্থি ফুলে ওঠে। ফলে, মাম্পস হলে, চুম্বনের ঝুঁকি নয়।
৮. ইনফ্লুয়েঞ্জা : ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত বাতাস বাহিত। তবে, সহজেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে লালার মাধ্যমে সঞ্চারিত হতে পারে। হাঁচি থেকেও ছড়ায়।