টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন কিছুটা বিপর্যস্ত। কোথাও কোথাও একই সাথে অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে তীব্র শীত।জানা গেছে, পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মেঘলা আকাশ থেকে ক্ষণে ক্ষণে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে এ বৃষ্টি ও বাতাস। কোথাও কোথাও বৃষ্টি না থাকলেও, কখনো তিরতিরে বাতাস আবার কখনো দমকা বাতাসে দুই দিন ধরে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে দেশজুড়েই। রাজধানী ঢাকাতেও এমন পরিবেশ।
গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধে মানুষকে অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলে। পথে-ঘাটে শুক্রবারের মতো আজ শনিবারও তেমন ভিড় নেই। ঢাকার বাইরে উত্তরাঞ্চলসহ অনেক এলাকার মানুষ গায়ে রীতিমতো শীতের পোশাক চাপাতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাস অনুসারে আরো দু-এক দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগে অস্থায়ীভাবে মাঝারি দমকাসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ শনিবারও। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে আর সর্বনিম্ন তামপাত্রাও (১৮ দশমিক ৮) ওই টাঙ্গাইলেই। এদিকে, দুই সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের রংপুরে সন্ধ্যা থেকে নামছে কুয়াশা। হালকা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশিরকণা। তার ওপর গত দুই দিনে সাগরের লঘুচাপ দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর, কাউনিয়াসহ এ অঞ্চলে। রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক অরজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘শুক্রবার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। সাগরের লঘুচাপের প্রভাব পড়েছে রংপুর অঞ্চলে। এ অবস্থা আরো কয়েক দিন বাড়তে পারে। এতে রংপুর অঞ্চলে আগাম শীত অনুভূত হচ্ছে। ‘