বেশ কিছুদিন পর আবার ও আলোচনায় উঠে এল আজিজ মুহম্মদ ভাই। আজ গুলশান ২ এ অবস্থানরত তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের তালিকা করলে প্রথমদিকেই থাকবে যার নাম।অনেকে তাকে তুলনা করেন সিনেমার ডনদের সাথেও। যাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে নিয়ে এসব গল্পের বেশিরভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও হত্যা কেন্দ্রিক। এ গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মুখরোচক বা মিথ্যা সে নিয়েও আছে নানা মত।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালানো হলে তিনি দেশে থাকেন না বলে জানা গেছে। তিনি সপরিবারে থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন।আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের স্ত্রী নওরিন মোহাম্মদ ভাই দেশে এসে ব্যবসা দেখেন। আজিজ মোহাম্মদের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।
তার ব্যাপারে উইকিপেডিয়া বলছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি হত্যা ও মাদক পাচারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫০টির মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি।
১৯৪৭ এ দেশভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে আসে। ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে।১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। আজিজ মোহাম্মদ ভাই তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইস্পাত প্রযোজকের পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্সের আজীবন সদস্য।এছাড়াও তিনি অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই।তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা বিধ অবৈধ ব্যাবসার সাথে তার নাম উঠে এসেছে তবে তার সত্যতা নিয়ে কেউই সামনে আসতে পারেনি।
এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা। মাদক ব্যাবসার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। মুম্বাইয়ের ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
রোববার অভিযানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়িতে কয়েকটি কক্ষে একাধিক তাকে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ।
বসবাসের ঘরে এত বিপুল পরিমাণ মদের মজুদ দেখে রীতিমোত হতবাক অভিযান পরিচালনাকারীরা।মাদকদ্রব্য ছাড়াও ক্যাসিনো খেলার নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকে।
গতবছর শেয়ার বাজার কেলেংকারীতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। জানা যায়, তার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে আছেন।