নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চট্টগ্রামের ৬ জেলার প্রতিনিধি সভার মঞ্চে উঠায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী তাকে ডেকে মঞ্চে তুললেও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করেন। এতে হাসিনা মহিউদ্দিন খানিকটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন।
হাসিনা মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী।
রবিবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি হলে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৬টি জেলার সাংগঠনিক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে এ ঘটনার সময় তিনি অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন। মঞ্চ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী তাকে হাতের ইশারায় মঞ্চে ডাকেন। তখন নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর তাকে মঞ্চে পৌঁছে দেন। হাসিনা মহিউদ্দিন অতিথিদের দ্বিতীয় সারিতে বসেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর সভার সঞ্চালক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গিয়ে তাকে চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে বলেন। হাসিনা মহিউদ্দিন এরপরও বসে থাকলে মেয়র আবারও গিয়ে তাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। তখন তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান এবং সভার পুরো সময় মঞ্চের নিচে ডানপাশে একটি চেয়ারে বসে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমি কাউকে নামিয়ে দেইনি। এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, মঞ্চে শুধু নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারি, সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং এমপিরা বসবেন। এছাড়া বাকি ৫টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারিরা থাকবেন। সহযোগী সংগঠনের কেউ মঞ্চে বসার কথা ছিল না। এটা সভাস্থলেও বার বার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরও উনি (হাসিনা মহিউদ্দিন) মঞ্চে উঠে আসলে আমি তাকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দর্শক সারিতে বসার অনুরোধ করেছি মাত্র। কারণ, এটা না বললে মঞ্চে আরও অনেকই উঠে আসতেন। এতে সভার শৃঙ্খলা বিনষ্ট হতো এবং সভামঞ্চ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতো। তবে আমার কথা উনি বুঝতে পেরেছেন বিধায় তিনি নিজ থেকে মঞ্চ থেকে নেমে যান। এতে অপ্রীতিকর কিছুই হয়নি।’
জানা গেছে, হাসিনা মহিউদ্দিন ছাড়াও নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এবং কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকীকেও মেয়র নাছির উদ্দীন মঞ্চে আসন গ্রহণ না করতে অনুরোধ জানালে তারা নিয়ম মেনে দর্শক আসনে বসেন।
সেরা নিউজ/আকিব