শিশিরের সাথে ক্রিকেট এর সখ্যতা গড়ে ওঠে না কখনই। শিশিরময় দিনে খেলা হলে দলগুলোর পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকে শিশির ।সন্ধ্যা ও রাতে শিশির এর প্রভাব ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাই ডে-নাইট ম্যাচ এ শিশিরকে অন্যতম প্রভাবক ধরা হয়। আসন্ন বাংলাদেশ- ভারত ডে নাইট টেস্টকে ঘিরে এখন থেকেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে শিশির এর প্রভাব নিয়ে।
শিশিরের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার। এরআগে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দিবা-রাত্রির টেস্টের উদ্যোগকে স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি। ভারত সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টিসহ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি হবে দিবা-রাত্রির। দুই দলই প্রথবার খেলতে যাচ্ছে গোলাপি বলের এই টেস্ট। ভারতীয় গণমাধ্যমকে শচীন বলেন, ‘এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হয় যতক্ষণ না শিশির কোনো প্রভাব ফেলে।’
বেশ যুক্তিযুক্ত শচীনের এমন মন্তব্য। শিশির থাকলে মূল সমস্যাটা হবে বোলারদের। তখন কন্ডিশন বিচার করে স্পিনার কিংবা পেসার উভয়ের জন্য থাকবে বিশাল চ্যালেঞ্জ । এ সময় তিনি বলেন ‘শিশির যদি ফ্যাক্টর হয়েই দাঁড়ায় তাহলে তা পেসার, স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একবার বলটি ভেজা অবস্থায় থাকলে পেসার বা স্পিনার সেভাবে কিছু করতে পারবে না। তেমনটি হলে বোলাররা পরীক্ষার মুখে পড়বে। তবে শিশির না থাকলে সেটা হবে ভালো কিছু।’
শিশিরের প্রভাব থাকলে কন্ডিশনটি ব্যাটসম্যানদেরই সুবিধা দেবে বেশি বলে মনে করেন এই কিংবদন্তী, ‘আমার মনে হয় এখানে কিন্তু শিশির বড় একটা ভূমিকা রাখবে। আমাদের দেখতে হবে তার পরিমাণটা কেমন। এই শিশিরই নির্ধারণ করে দেবে দুই দল কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’
দিবা-রাত্রির ম্যাচ সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হতে পারে দর্শকদের জন্য বলে মনে করছেন এই সাবেক তারকা, ‘এটা ভালো একটা ধারণা, কারণ ভক্তরা কাজের সময়ের পর খেলাটা দেখতে পারবে। এমনকি অনেকে সন্ধ্যায় মাঠে আসতে পারবে, উপভোগও করতে পারবে।’