অনলাইন ডেস্ক:
জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে দলটি ইতিমধ্যে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত দলটি তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি।
তবে এ দুই সিটিতে একাধিক প্রার্থী কাজ করলেও উত্তরের মেয়র পদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন। আর দক্ষিণের মেয়র পদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত বেশি। কিন্তু দলের স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণে মির্জা আব্বাস প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে একমাত্র তাবিথ আউয়াল অন্যটি পরিবর্তন আসতে পারে। ঢাকা দক্ষিণে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন দলের হাইকমান্ডের ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন।
তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন-উন-নবী-খান সোহেল, সাবেক কমিশনার দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল বাশারের নামও শোনা যাচ্ছে এবং উত্তরে ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাছিদ আঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ আরো কয়েকজন প্রার্থী হতে আগ্রহী বলে সূত্রটি জানায়।
২০১৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী হতে মনোনয়ন তুলেছিলেন তাবিথ আউয়াল, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এবিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। সুতরাং এখন আমি কিছু বলতে পারবো না।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর উপজেলা নির্বাচন বর্জনও করে দলটি। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির অনেক নেতা উপজেলা নির্বাচন অংশ নেন। আর দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করে বিএনপি।
এরপর গত ৫ জুলাই দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে দলের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিএনপি। ওই বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপি আগামীতে স্থানীয় সরকারের সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবে।
আগামী ২০২০ সালে জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট হবে বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানান, অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় ঢাকার দুই সিটির ভোট জানুয়ারিতে একদিনে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর আগামী ১৫ নভেম্বরের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হবে।
সেরা নিউজ/আকিব