স্পোর্টস ডেস্ক:
আগে শোনা গিয়েছিল, প্রাথমিকভাবে বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটি (ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ) থেকে তাকে বরখাস্ত করা হবে। কিন্তু শেষ খবর, অবশেষে বরখাস্তই হতে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ক্লাবে ক্যাসিনো ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি। মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন লোকমান ভূঁইয়া।
ওই ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে নেতিবাচক সাড়া পড়ে যায়। ক্রিকেটঅনুরাগীদের বেশিরভাগই মনে করেন, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত কারোরই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থায় জড়িত থাকাটা শোভনীয় নয়। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনো অ্যাকশন নেননি। শুধু বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে যত সময় গড়াচ্ছে, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির মতো আলোচিত-আলোড়িত ইস্যুর সঙ্গে জড়িত লোকমান হোসেনের বোর্ডে থাকা নিয়ে সমালোচনাও তত বাড়ছে এবং একই সঙ্গে বিসিবির ইমেজও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে বেশ নাড়া-চাড়া হচ্ছে।
বোর্ডের অভ্যন্তরেও এ নিয়ে আছে নানা গুঞ্জন। বোর্ড পরিচালকদের কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে লোকমান হোসেনের এখনও বোর্ডে থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিচালকের দাবি, যেহেতু তিনি অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে, তাই অন্তত এখন তাকে বোর্ডে রাখা ঠিক হচ্ছে না।
ভেতরের খবর, অবশেষে সবদিক বিচার বিবেচনায় লোকমান হোসেনকে সাময়িকভাবে বোর্ড পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। আগামী বোর্ড মিটিংয়েই হয়তো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে বিসিবির সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। এ কমিটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, আইন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যে কারো বিপক্ষে কোনোরকম বিতর্কের জন্ম হলে, প্রাথমিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
জানা গেছে, লোকমান হোসেনের ক্ষেত্রে বোর্ডের গঠনতন্ত্র বিধি অনুসারে প্রথমে তদন্ত কমিটি গঠন এবং পরে তার ভিত্তিতে তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন এবং শাস্তি পেয়ে যান তাহলে বিসিবি থেকে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হতে পারে। নচেত, পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।