ছিলেন পর্নো তারকা, এখন করছেন নিউজিল্যান্ড- ইংল্যান্ড ম্যাচের আম্পায়ারিং। এমনই বিচিত্র এক ক্যারিয়ার স্টিরাট এর।পর্নো জগৎ থেকে আম্পায়ারিংয়ে এসে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছেন গার্থ স্টিরাট। তার এ বিচিত্র ক্যারিয়ার নিয়ে এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’।
প্রতিবেদন বলা হয়, ৫১ বছর বয়সী স্টিরাট এর আগে বেশ কয়েকটি নারীদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত মঙ্গলবার নেলসনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন ক্রিস ব্রাউন ও ওয়েনি নাইটস। টিভি আম্পায়ার ছিলেন শন হেইগ। আর রিজার্ভ বা চতুর্থ আম্পায়ার ছিলেন গার্থ স্টিরাট।
আম্পায়ারিং পেশায় আসার আগে তিনি নিউজিল্যান্ডের পেশাদার গলফারদের সংস্থায় (প্রফেশনাল গলফারস অ্যাসোসিয়েশন) ১০ বছর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। এ পেশায় থাকাকালীন তিনি পর্নোগ্রাফিতে কাজ করেছিলেন। সেটা অবশ্য গোপনে। পর্নোগ্রাফিতে কাজ করার সময় তিনি এ নাম ব্যবহার করেননি। সেখানে পরিচিত ছিলেন ‘স্টিভ পার্নেল’ নামে। গোপনে কাজ করলেও বিষয়টি এক সময় ফাঁস হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ম্যাগাজিনে তার বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। এরপর গলফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহীর চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
চাকরি হারানোর পর তিনি লম্বা সময় ধরে আম্পায়ারিং শেখেন স্টিরাট। এরপর নারী ক্রিকেটের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব নেন। অতঃপর ছেলেদের ক্রিকেটের ইন্টারনেশনাল ম্যাচেও যাত্রা শুরু হল স্টিরাট এর।