আলোচিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রায়ে বলা হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি পাচ্ছেন হিন্দুরাই।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত প্রমান পাওয়া যায় যে হিন্দুরা ওই স্থানের অন্দরেও প্রবেশ করেছে। ১৮৫৬ পর্যন্ত বাবরি মসজিদে নামাজ পড়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। পরবর্তীকালে প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হতো সেই মসজিদ।তবে হিন্দুরা যে মনে করে ডোমের নীচেই ছিল রামের জন্মস্থান, এর কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি আদালত। তাই হিন্দুদের এই দাবিকে একটা বিশ্বাস হিসেবে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে কাঠামো ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল তা মসজিদ নয়। সেটা মন্দির ছিল তাও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। বাবরি মসজিদ খালি জায়গায় ওপর তৈরি হয়নি। জমির মালিকানার পক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা আইনবিরুদ্ধ কাজ বলেও মনে করে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য,ভারতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যা জমি মামলার রায়। এক শতাব্দীর পুরনো মামলা অযোধ্যা। চূড়ান্ত পর্বে টানা ৪০ দিন ধরে চলেছে শুনানি। দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে চলেছে জোরালো সওয়াল। অযোধ্যা জমি মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য, জানুয়ারি মাসে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এসএ বোবদে এবং এস আবদুল নাজির। ৪০ দিন টানা শুনানির শেষে, গত ১৬ই অক্টোবর রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত। শুনানির শেষ দিনে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, জমির দাবি ছেড়ে দিতে রাজি বলে খবর ছড়ায়। যদিও আদালতের নির্দেশে শুনানির পর তারা নির্দিষ্টভাবে বিতর্কিত জমিতে মসজিদ তৈরির দাবি জানায়। হিন্দু মহাসভা রাম মন্দির নির্মাণ-সহ পুরো জমিটিই দাবি করে। আর নির্মোহী আখাড়া আর্জি জানায় হিন্দুদের অন্য পক্ষের হাতে জমির অধিকার গেলেও পুজো করার অধিকার তাদেরই দিতে হবে।