রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা খাবারে জিরা ব্যবহার করে থাকি। তবে রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরার স্বাস্থ্যসম্মত গুণাগুণ প্রচুর। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হজমে সাহায্য করে
বহুদিন ধরেই জিরার ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে। জিরার প্রভাবে বাড়ে হজমে সহায়ক উৎসেচকের ক্ষরণ। ফলে হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তাছাড়া জিরার জন্য যকৃৎ বা লিভার থেকে পিত্ত বা বাইল ক্ষরণ বাড়ে। এই পিত্ত-ও সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়।
লোহার উৎস
জিরার দানা প্রাকৃতিকভাবে লোহার উৎস। এক চামচ জিরাগুঁড়ায় আছে ১.৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
আধুনিক গবেষণা বলছে, শরীরের ক্ষতিকারক ট্রাইগ্লিসারইড নিয়ন্ত্রিত থাকে জিরার প্রভাবে। সরাসরি জিরা খাওয়ার পাশাপাশি জিরা ভেজানো পানির উপযোগিতার কথাও বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে।
রাতে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অর্ধেক চামচ জিরা। সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। অনেকে গোটা জিরা ফুটিয়েও মিশ্রণ বানান। তারপর ওই ঈষদুষ্ণ পানি পান করেন। জিরে মিশ্রিত পানি পান করার গুণাগুণ অনেক। আসুন দেখে নিই এই মিশ্রণ পান করার ভালো দিক কী কী :
হজম প্রক্রিয়া এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হজমের গণ্ডগোল কম রাখতে সাহায্য করে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধুমেহ রোগীদের জন্যও উপকারী। নিয়্ন্ত্রণে থাকে উচ্চরক্তচাপ। এছাড়া ভালো থাকে লিভারের স্বাস্থ্য।
তাছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। চুলের জেল্লা বজায় থাকে। বয়সের ছাপ মুছে এবং ব্রণ দূর করে ত্বকের চাকচিক্য ধরে রাখে।