ভারত- বাংলাদেশ ২ই প্রতিবেশী দেশেই ক্রিকেট পাগল। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ২ই দেশের সাপোর্টারদের কাছেই এখন পরিচিত মুখ টাইগার শোয়েব ও সুধীর কুমার গৌতম। এরা দুজন প্লেয়াররা যখন মাঠ কাপায় তখন তারা গ্যালারি মাতিয়ে রাখে। জয় পরাজয় সব সময়ই তারা দলকে ভালোবেসে সাপোর্ট দিয়ে যান। ভারত – বাংলাদেশ সিরিজেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।ছিলেন শোয়েব-সুধীর।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজকোটে। তৃতীয় ম্যাচ নাগপুরে, যা হাজারেরও বেশি কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁড় ভক্ত শোয়েব আলী বুখারি দলকে সমর্থন দিতে সেখানেও উপস্থিত ছিলেন। রাজকোটের ম্যাচ শেষে নাগপুরে পাড়ি জমাতে তিনি যাতায়াতের জন্য বেছে নেন ট্রেন।
এদিকে ভারতের সমর্থক সুধীর গৌতম নাগপুর যাওয়ার কথা বিমানে চড়ে। শোয়েবের মত তিনিও তার দেশে ক্রিকেটের আইকনিক সমর্থক। দুই দলের মাঠের লড়াই বা দ্বৈরথ যতই থাকুক না কেন; বয়স, ধর্ম, জাতি বা দলের ভেদাভেদ ভুলে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শোয়েব ও সুধীরের।
আর তাই বন্ধু শোয়েবকে সঙ্গ দিতে সুধীর বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে একই ট্রেনে যাত্রা করেন। রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু নাগপুরে শোয়েব ও সুধীর গেছেন সেই ট্রেনে চেপেই।এখানেই সৃষ্টি হল অনন্য দৃষ্টান্ত।সফররত বন্ধু শোয়েবের জন্য সুধীর আরামদায়ক ভ্রমণের পথ বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছেন ট্রেনের দীর্ঘ ভ্রমণকেই!
রাজকোট থেকে নাগপুরে ট্রেনে যেতে প্রায় এক দিন সময় লাগে। রেলপথে দুই শহরের দূরত্ব ১২০১ কিলোমিটার। দিল্লীতে যাত্রাবিরতি নিয়ে বিমানে যেতেই লেগে যায় প্রায় ৫ ঘণ্টা। ট্রেনে গেলে সামলাতে হয় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা। সব মিলিয়ে লেগে যায় সাড়ে ২১ ঘণ্টা!