ফেসবুক এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।বুধবার এক বিবৃতির মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৯ সালে ৫৪০ কোটি অ্যাকাউন্ট ভুয়া সন্দেহে মুছে ফেলেছে বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। ভুল তথ্য ছড়ানো ও বিভ্রান্তি মোকাবেলার অংশ হিসেবে এই কাজ করেছে তারা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ‘আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি’ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় তারা এমন ব্যবস্থা নিয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলো খোলার ‘কয়েক মিনিটের মধ্যেই’ সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক।
গত বছর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হয়ে ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিক নামের প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেবার একজন গবেষককে ব্যবহারকারীদের তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। কিন্তু ওই গবেষকের সূত্রে ব্যবহারকারীদের তথ্য চলে যায় ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকের কাছে। অভিযোগ ওঠে, ডানপন্থী পত্রিকা ব্রেইটবার্টের প্রধান ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান পরিকল্পনাবিদ স্টিভ ব্যানন প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত।
তিনি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করে ২০১৬ সালের নির্বাচন প্রভাবিত করেছেন। ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকে কাজ করা সাবেক একজন কর্মী এসব তথ্য ফাঁস করে দেন। পরে এর জেরে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে কংগ্রেসে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়। এর পর থেকে নীতিমালা নিয়ে আরো কঠোর হয় ফেসবুক। তারা জানায়, ভুয়া ও উসকানিমূলক অ্যাকাউন্ট ঠেকাতে তারা এখনো আরো প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম। প্রতিদিনই এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাখ লাখ ভুয়া অ্যাকাউন্ট অপসারণ করা হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। বুধবার ফেসবুক জানায়, সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের কাছে তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭ বার এমন অনুরোধ করেছে বিভিন্ন দেশের সরকার।