পাকিস্তান শত্রু রাষ্ট্রের আক্রমণ থেকে নিজ দেশকে বাঁচাতে সব সময়ই তৎপর। এ জন্য তারা অনেক আগে থেকেই পারমানবিক অস্ত্র মজুদ ও পারমানবিক অস্ত্রের প্রযুক্তি আমদানি করে আসছে। সম্প্রতি জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ কিংবা রাসায়নিক যুদ্ধের জন্য অবৈধভাবে প্রযুক্তি আমদানি করছে পাকিস্তান। আর সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গেছে। জার্মানিসহ অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশ থেকে পরমাণু অস্ত্রের উপাদান সংগ্রহ করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ২০১৮ সাল। জার্মানির একাধিক সাংসদ এই সংক্রান্ত প্রশ্ন রেখেছিলেন। আর সেই প্রশ্নের জবাবেই এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
২০১০-থেকে এই ধরনের অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে জার্মানি। যার ফলে ইরানের মত দেশে এই ঘটনা কমে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা। বর্তমানে পাকিস্তানের হাতে আছে একশ ৩০ থেকে একশ ৪০টি পরমাণু অস্ত্র। ২০২৫ সালের দিকে সেই সংখ্যাটা দু’শ ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। জার্মান রিপোর্টেই সেকথা বলা হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্ট রিপোর্টে আগেই জানানো হয়েছিল, ২০২৫ সালের দিকে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যাটা দু’শ ৫০ নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে পাকিস্তানের। গবেষক হ্যানস এম ক্রিসটেনসেন, রবার্ট এস নরিস ও জুলিয়া ডায়মণ্ড পাকিস্তানি নিউক্লিয়ার ফোর্স নামে এই রিপোর্ট তৈরি করেন। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় গত বছর।
রিপোর্ট বলছে, দ্রুত হারে নিজেদের পারমানবিক অস্ত্র বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। এমনকি তারা সংরক্ষণও করছে এই পারমানবিক অস্ত্র। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়ে যাবে।