শব্দের মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষের শরীর, মন ও কর্মকান্ডে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। যার মাত্রাতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত শব্দকে সারা বিশ্বই শব্দদূষণ বলে আখ্যায়িত করে।এবার সেই শব্দ দূষণ গড়াল আদালত পর্যন্ত।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার শুধু মুখেই দাবি করেছে এবং নিয়ম রক্ষার জন্য কয়েকটি হলফনামা জমা দিয়েছে। শব্দদূষণ সংক্রান্ত মামলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে এভাবেই সমালোচনা করেছে সেখানকার জাতীয় পরিবেশ আদালত।
শব্দদূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ বা দূষণবিধি ঠিকমতো পালন হচ্ছে কিনা, শুধু তা দেখতেই এসপি বা ডিসিপি পদমর্যাদার একজনকে নিয়োগ করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কলকাতা ও হাওড়ার শব্দদূষণ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় দেখভাল করবেন। তাকে অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা সব রকমের সাহায্য করবেন। দুপক্ষের মধ্যে সপ্তাহে অন্তত একবার বৈঠক করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিবেশ আদালতকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
শব্দদূষণ সংক্রান্ত তথ্য আপলোড ও জনসাধারণকে জানানোর জন্য পৃথক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে অভিযোগ জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার ভিত্তিতে শুধু শব্দদূষণের জন্যেই হেল্পলাইন, ইমেল, এসএমএস বা টেলিফোনেও অভিযোগ নেয়ার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ ছাড়া নিয়মভঙ্গ করলে জরিমানা, শব্দযন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা, নয়েজ কন্ট্রোল ডিভাইস লাগিয়ে অডিও ব্যবস্থা বা শব্দযন্ত্র তৈরি করা যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, শুধু শব্দদূষণের বিষয় দেখতে এসপি বা ডিসিপি মর্যাদার কর্মকর্তা নিয়োগউল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, জাতীয় আদালতের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব।