যুদ্ধের দামায় সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরী।বিশ্বব্যাপি শিশুরা যখন স্কুলে যাচ্ছে কিংবা পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মজার খেলায় ব্যস্ত থাকছে ঠিক তখন ভিন্ন এক চিত্র দেখা যাচ্ছে সিরিয়ার ইলদিব শহরে। ৮ বছর ধরে চলমান নির্মম প্রাণসংহারের এ খেলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরির সবচেয়ে ভুগান্তির শিকার হয়েছে শিশুরা।
কোন পরিবারে হয়তো বাবা নেই, কেউ ভাইহারা কারো হয়তো পরিবারের কেউ বেচেঁ নেই তবে জীবনতো আর থেমে নেই। কোন পরিবারে ৮/১০ বছরের শিশুর কাধেঁই উপার্জনের গুরু দায়িত্ব। জীবনের প্রয়োজনেই তাই শিশুরা বেরিয়ে পরছে জীবিকার সন্ধানে।
বোমার বিকট শব্দে যে শহরে মানুষের দিনশুরু হয় সেখানে কোন কাজ করলে শিশুদের মুখে ২বেলা খাবার জুটবে? বেকারত্ব আর ভেঙে পড়া অর্থনীতির শহরে তাইতো শিশুরা ছুটছে মানুষের ফেলে দেওয়া দুষিত পরিবেশের ময়লার ভাগাড়ে।
সারাদিন প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে সংসার সোমলাতে যুদ্ধ করছে শিশুরা।
ভাগ্যবিড়ম্বনার শিকার এমনি এক শিশু মুহাম্মদ আছমার। স্বাভাবিক পরিবেশে সে হয়তো ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। সে জানায় এ কাজ তার ভালো লাগে না । সে পড়তে চায় কিন্তু সেখানে স্কুল নেই। গত আড়াই বছর যাবত সে তার পরিবারের জন্য এ কাজ করে যাচ্ছে। সে বর্জ্য থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগ, দড়ি, স্টিলের টুকরো সংগ্রহ করে দিনে ১৩০ থেকে ১৯০ টাকা আয় করে থাকে।
আট বছরের গনিম আহমদ ও তার সঙিরা সকাল দশটা থেকে কাজ শুরু করে।
ক্যাম্পে বসবাস করা ১৮ বছরের আলি হেলাল সবজি বিক্রি করা ছেড়ে দিয়ে স্টিল, লোহা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই সে আহত হয় তবে বাসায় বসেই চিকিৎসার কাজ সেরে ফেলা ছাড়া তার আর কিছুই করার নেই তার বলে জানায় সে।
উল্লেখ্য, ৪০ লাখ লোকের এ শহরে সব শিশুরাই এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত থাকলেও তাদের সামনে কোন আশার আলো নেই। কবে, কিভাবে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে তা নিশ্চিত করে হয়তো কেউই বলতে পারবে না ।