সব রোগের মোহা ঔষুধ হচ্ছে কালি জিরা। কুরআনে বর্ণিত কয়েকটি উপকারি জিনিসের মধ্যে কালো জিরা একটি। এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। আসুন জেনে নেই কালি জিরার কয়েকটি উপকারি স্বাস্থ্যগুনঃ
১.খাবারে অরুচি, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, চুলপড়া, সর্দি, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, কাশি,উদরাময়, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. মাথাব্যথা, চুলপড়া, অনিদ্রা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, মাথা ঝিমঝিম করা,অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
৩. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক তিন চার বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. প্রতি দিন চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।
৫. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৬. জ্বর,গায়ের ব্যথা, কফ দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় কালো জিরা ।
৭.সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
৮.কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
৯. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।
১০.দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
১১.মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
১২.কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
১৩.দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।
১৪.কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।
১৫. প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।
১৬. বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন