ফেসবুক ও গুগল ব্যবহারকারির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।সেই সাথে ফেসবুক ও গুগল ব্যবহারকারিদের উপর নজরদারিও বাড়িয়ে দিচ্ছে কতৃপক্ষ।এই ‘নজরদারি’ ভিত্তিক ব্যবসায়িক মডেলকে মানবাধিকারের জন্য হুমকি বলে মনে করছে অ্যামনেস্টি। এ পদ্ধতিকে মানুষের মৌলিক গোপনীয়তা অধিকারের লঙ্ঘন বলে এ বিষয়ে সরকারগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিও সংস্থাটি।
টেক জায়ান্ট ফেসবুক-গুগল ‘নজরদারি ভিত্তিক ব্যবসায়িক মডেল’ অনুসরন করে যাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে তাদেরকে এ থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করতে সরকারগুলোর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে নোবেলজয়ী এ মানবাধিকার সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ৬০ পৃষ্টার এক রিপোর্টে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে পরিসেবা গ্রহণের জন্য নিদিষ্ট মূল্য পরিশোধের পরেও কোম্পানিগুলো আয়ের জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করে। ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য তারা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে যা অনাকাঙ্খিতভাবে মানুষের গোপনীয়তা অধিকারের উপর হামলা। এ পদ্ধতিতে মানুষের দেয়া ব্যক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। সেজন্য সর্বক্ষনিক অনলাইন কার্যক্রম নজরদারি করা হয়।
অ্যামনেস্টি বলছে কোম্পানিগুলো তথ্য প্রদানের বিনিময়ে তাদের সেবা গ্রহণের জন্য প্রবেশাধিকার পেতে ব্যবহারকারীদের বাধ্য করে । সংস্থা দুটি মানুষের ডিজিটাল উপস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কারণ অনলাইলে প্রবেশ করতে মানুষকে তাদের দ্বারস্থ হতে হয়। যেটি তাদেরকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়তি শক্তি জোগাচ্ছে। সব কিছুতে তাদের এই অভ্যন্তরিণ নিয়ন্ত্রণ বতর্মান সময়ের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করে তারা।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমতা এবং বৈষ্যম্য রোধেও গুগল- ফেসবুক মানবাধিকারের জন্যও হুমকি বলছে অ্যামনেস্টি। অনলাইনে প্রবেশের সময় মানুষের ব্যাক্তিগত তথ্য যেন সংরক্ষিত থাকে সে জন্য সরকারগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
তবে প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে দ্বি-মত পোষণ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে ব্যবহাকারীরা স্বেচ্ছায় সেবা গ্রহণ করার জন্য তথ্য দিয়ে একাউন্ট করে থাকে। গুগলও এ রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, এরআগে গুগল কর্তৃপক্ষকে নজরদারী করার বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য মার্কিন সিনেটে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন থেকে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।