ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে গণ ধর্ষণের পর এক পশু চিকিৎসককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার ধর্ষক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।শুক্রবার(৬ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযুক্ত চারজনকে নিয়ে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হন।
সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, অভিযুক্ত আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত তিনটার দিকে ঘটনাস্থল সামসাবাদে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের কাছে আন্ডার পাসের দিকে রওনা হয় পুলিশের একটি দল। পথে সাদনগরে চাতানপল্লিতে থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এসময় পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হয়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২৮ নভেম্বর রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তেলেঙ্গানার ওই তরুণী চিকিৎসককে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযুক্ততের স্বীকারোক্তি মোতাবেক জানা যায় এক তরুণীকে টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে যেতে দেখে এই চার অভিযুক্ত। পেশায় তারা ছিল ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসি। তারা ইচ্ছাকৃত তার স্কুটারের টায়ার পাংচার করে দিয়ে ও তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সে ফিরে এসে এমন ঘটনা দেখার পর এই চারজন তাকে সাহায্য করার ভান দেখিয়ে এগিয়ে আসে, আর তারপরেই ঘটে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। প্রথমে চারজনে মিলে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয় এই পশু চিকিৎসককে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে তারা সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল।