রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ২ই বাড়ীর মাঝখানে গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীর রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহ।চাঞ্চল্যকর এই মৃত্যুর ৩ দিন পর গতকাল রুম্পার কথিত প্রেমিক সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) আনা হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে তাকে সেখানে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিভাগ ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বলছেন, তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রুম্পার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে রুম্পার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশে ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে।
এদিকে, রুম্পার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো তারা ধানমন্ডি ও সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রুম্পা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করতে পারছেন সংশ্লিষ্টরা। বিক্ষুব্ধদের দাবি, রুম্পা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।