জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আদালত থেকে যে আদেশ দিবে তা মানতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে মিয়ানমার। কারণ মিয়ানমার জাতিসংঘের ১৯৫৬ সালের গণহত্যা প্রতিরোধ কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। আর সে জন্য আদালতের আদেশ পালনে বাধ্য করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সহায়তা করবে।
গাম্বিয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দ্রুত ৪ মাসের ভিতরে পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে। আর যে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি নিরাপত্তা কাউন্সিলে চলে যাবে বাস্তবায়নের জন্যে। আর এ ধরনের যে কোন আদেশ নিরাপত্তা পরিষদের উপর চাপ বাড়াবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে। কারণ এর আগে জাতিসংঘ তদন্ত রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের উপর পরিচালিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার উদ্দেশ্যে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারকে নির্দেশনা দিতে পারে রোহিঙ্গাদের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ তুলে নিতে, রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা না দিতে, বৈষম্যমুলক আইন সংশোধন করতে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের হয়রানি না করতে।
যদিও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের পক্ষে চীনের সমর্থন ও ভেটো ক্ষমতার ফলে এ সমস্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করার মামলার শুনানি শুরু হবে মঙ্গলবার সকালে।