অনলাইন ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব দেশটির প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে। এতে করে দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এতে তিনি এখনই ক্ষমতা হারাচ্ছেন না। ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এটি পাস হওয়া প্রয়োজন। তবে সিনেট যেহেতু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত তাই সেখানে এটি পাস হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে প্রথম দুই অভিযোগের ভোট গণনায় ওই পরিমাণ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের চেয়ারের অনুমোদন দেয়ার পর।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পড়েছে প্রতিনিধি পরিষদে। প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে ২৩০ ভোট পড়েছে অভিশংসনের পক্ষে এবং ১৯৭ ভোট পড়েছে বিপক্ষে।
দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ২১৬ ভোটের বেশি সংখ্যক ভোট পড়েছে। ওই অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে ২২৯ ভোট ও বিপক্ষে ১৯৮ ভোট।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্প হলেন অভিশংসিত হওয়া তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুজন প্রেসিডেন্ট ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারা হলেন অ্যান্ড্রু জনসন ও বিল ক্লিনটন। তবে তাদের কাউকেই ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি।
এ দুটি অভিযোগে এবার সিনেটে ট্রাম্পের বিচার হবে। তবে সেনেটে যেহেতু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত তাই সেখানে এটি পাস হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই। সিনেটে ট্রাম্পের বিচার অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারি মাসে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি হলো- (১) তিনি তার পদ ব্যবহার করে তার ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছিলেন, এবং (২) অভিশংসনের তদন্তকাজে সহায়তা করতে অস্বীকার করে তিনি কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।