সম্ভাবনার নতুন ঠিকানা পারকি সমূদ্র সৈকত - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
সম্ভাবনার নতুন ঠিকানা পারকি সমূদ্র সৈকত - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন

সম্ভাবনার নতুন ঠিকানা পারকি সমূদ্র সৈকত

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯

শীত আসলেই ভ্রমণ পিপাসুরা খুঁজতে থাকে ভ্রমণের জায়গা। বন্ধুরা মিলে ঠিক করে সেই গন্তব্যে’র স্থানটি। আর ভাল দিনক্ষণ দেখে পাড়ি দেয় তারা। প্রতিবছর এই মৌসুমে দেশের নাম করা পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকে থাকে ঠাসা। পাশাপাশি নতুন গন্তব্যে’রও সন্ধানে থাকে পিপাসুরা। আর সেই রকম একটি পছন্দের পর্যটন স্পট ”পারকির চর”। চট্টগ্রাম শহরের আনোয়ারা উপজেলায় এ পর্যটনটির অবস্থান।

চট্টগ্রাম শহর থেকে পারকি বীচের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘন্টা। এটা মূলত কর্ণফুলীর মোহনায় অবস্থিত। অর্থাৎ কর্ণফুলী নদীর মোহনার পশ্চিম তীরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং পূর্ব-দক্ষিণ তীরে পারকী সমদ্রু সৈকত। চট্টগ্রাম সার কারখানা ও কাফকো যাওয়ার পথ ধরে যেতে হয়।

পারকী সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে দেখা মিলে অন্যরকম এক দৃশ্য। আঁকা বাকা পথ ধরে ছোট ছোট পাহাড়ের দেখা মেলবে। দেখা মেলবে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ (সিউএফল) এবং কাফকোর দৃশ্যও। চোখে পড়বে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রমোদতরীর আদলে নির্মিত নতুন ঝুলন্ত ব্রিজ। যে কারো ভ্রমনকে দেবে বাড়তি আনন্দ। বীচে ঢুকার ১ কিলোমিটার আগে চোখে পড়বে, সারি সারি গাছ, সবুজ প্রান্তর, দেখা যাবে মাছের ঘের। অনেকের ইচ্ছে থাকে নিজ চোখে মাছের ঘের দেখার। পারকিরচরে যেতে তাই চোখে পড়বে। বীচে রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো অসংখ্য ঝাউ গাছ আর ঝাউবন। দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার জুড়ে বিশাল এই সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়বে। তাছাড়া নদী পথেও যাওয়া যায় পারকি বিচে। চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমি কিংবা বিমানবন্দর এলাকা থেকে কর্ণফুলী নদী পেরোলেই পারকি চর। দীর্ঘ এক যুগ ধরে পারকি সমুদ্র সৈকতের নাম থাকলেও সরকারী কোন উদ্যেগ না থাকার কারনে পিছিয়ে পড়ছে এ পর্যটন খ্যাতটি। প্রতিবছর শীত আসলে ওই বিচে পর্যটকের আনাগোনা মূখরিত হয়ে উঠে পুরো প্রান্তর। সাগরের গর্জন আর ঢেউয়ের মিতালী এবং সাগরের নীল পানি তীরের ঝাউবন প্রতিদিন শত শত পর্যটক ভিড় করছে পারকি বিচে। যেখান থেকে উপভোগ করা যায় সৈকতের বালুচরে লাল কাঁকড়ার ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য কিংবা দূরে গভীর সমুদ্রে নোঙর করা কিংবা সমদ্রু পথে চলতে থাকা ছোট-বড় জাহাজের সারি।

পর্যটকদের আরো বাড়তি দেয় বিচের পাড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে নারিকেল ও সুপারি গাছ। আর সাগরের দিকে থাকালে পুরো আকাশটা যেন নুয়ে পড়ছে সাগরে। যেন সমূদ্রের জলকে চুমু খাচ্ছে পরম মমতায়। আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক বেড়াতে আসছে পারকির চর সৈকতে। কিন্তু সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন উদ্যেগ না থাকাই পিছিয়ে পড়ছে এই পর্যটনটি। যথাযত ব্যবস্থাপনার অভাবে যেখানে নেই ভালো কোন রেস্তেুারা রেষ্টুরেন্ট। নেই কোন থাকার হোটেল। সন্ধ্যার আগেই চট্টগ্রাম শহরে ফিরতে হয় পর্যটকদের। সম্প্রতি পারকিরচর বিচে গিয়ে দেখা যায়, অস্যংখ্য পর্যটক সঙ্গি, পরিবার ও পরিজন নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে বসে কেউ গল্পে মেতেছে আবার কেউ সাগরের পানিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছে। সৈকতের পাশে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ঝিনুকের দোকান। মাঝে কয়েক ফুসকা ও চটপটির দোকান।

এখানে বেড়াতে অনেক পর্যটকদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, পারকি সমুদ্র সৈকত দেখতে কক্সবাজারের চেয়ে কম নয়। কিন্তু থাকা ও খাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় সৈকতের আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাদের মতে, সরকার বিচকে পর্যটন কর্পোরেশনের আওতায় আনা হয় তাহলে অতি অল্প সময়ে পর্যটকবান্ধব হবে পারকিরচর বিচ। পাশাপাশি সরকারি যোগ হবে রাজস্ব।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে অবাকাঠামো উন্নয়ন হলে, পর্যটন একমাত্র শিল্প যে খাতকে উন্নয়নে আলাদা করে মোটা অংকের বিমিয়োগের দরকার হয়না। এই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যেগ নিলে এটি হবে আয়ের একটি অন্যতম খাত পারকির চর দেশ বিদেশে পরিচিতি লাভ করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360