ম্যাচ ফিক্সিং এর প্রস্তাব আইসিসিকে না জানানোয় আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। তবে তার আগে যে টুকু সময় পেয়েছেন তাতেই বছরের সেরা পারফরমার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন সাকিব। সেই পারফরমেন্স এর সূত্র ধরেই তার এত অর্জন আর স্বীকৃতি জুটেছে যে কলঙ্কের পরও ক্রিকেট তারকাদের মাঝে উজ্বল তার নাম।
বিশ্বকাপে উজ্জ্বল সাকিব
২০১৯ বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক আসরেই করেছেন ছয়শর বেশি (৬০৬) রান এবং বাঁ হাতি স্পিনে নিয়েছেন ১০টির বেশি (১১) উইকেট। অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকায় প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার তার হাতে ওঠবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটা জিতে নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
উইজডেন অ্যালমানাকের স্বীকৃতি
উইজডেন অ্যালমানাকের গত এক দশকের সেরা ওয়ানডে একাদশে স্থান পেয়েছেন সাকিব। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার দশকসেরা একাদশে সুযোগ পেলেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একাদশে
উইজডেনের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে রেখেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
ফক্স স্পোর্টসের তালিকাতেও সাকিব
দশক শেষের আগে ফক্স স্পোর্টস এশিয়াও সেরা ওয়ানডে একদাশ নির্বাচন করেছে। সেখানেও আছেন এক দশকে একশ ৩১টি ওয়ানডেতে ৩০ দশমিক ১৫ গড়ে একশ ৭৭টি উইকেট নেওয়া এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ গড়ে চার হাজার দু’শ ৭৬ রান করা সাকিব।
সবাই খোঁজে তাকে
সম্প্রতি বার্ষিক সার্চ ট্রেন্ড প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, সারা বছর সাকিবকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে। সেখানে ‘পিপল’ বিভাগে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই বিজ্ঞাপন।