নিউজ ডেস্ক:
চলমান একাদশ সংসদে এটাই বিএনপির প্রথম ওয়াকআউট। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের কারণে দশম সংসদ ছিল বিএনপিবিহীন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পরও নাটকীয়ভাবে গত এপ্রিলে সংসদে যোগ দেন তারা। ২০১৪ সালের পর থেকে সংসদে প্রায় হারিয়ে যাওয়া সেই ওয়াকআউট ফিরিয়ে আনল বিএনপি।
সংসদে যোগ দেওয়ার পর গত নয় মাসে সরকারের বিরুদ্ধে সরব থাকলেও ওয়াকআউট করেনি।
মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনা চলাকালে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ কথা বলার অভিযোগ তুলে হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে বিএনপির সদস্যরা ওয়াকআউট করেন।
অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির হারুন বর্তমান সরকারের সময় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের সমালোচনা করে ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে’ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার দাবি তোলেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া না হলে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করারও হুমকি দেন তিনি।
হারুন এসময় এমপিদের সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
হারুনের বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু ফ্লোর নিয়ে তার পাল্টা জবাব দেন। আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা বিএনপি সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নানা নির্বাচনের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্যের পর হারুন আবারো ফ্লোর চাইলে স্পিকার না দিয়ে তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে ফ্লোর দেন।
এ সময় হারুন প্রথমে মাইক ছাড়াই কথা বলতে থাকেন। সরকারি দলের সদস্যরা সিটি কপোরেশন নির্বাচন নিয়ে পাল্টা বক্তব্যে প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে কথা বলেছেন দাবি করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বেরিয়ে আসার পর হারুন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী কাজে সরকারি দলের এমপিদের অংশগ্রহণের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। তারা সেগুলোর জবাব না দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা তুলেছে।