আ'লীগ সভানেত্রী হত্যা চেষ্টা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
আ'লীগ সভানেত্রী হত্যা চেষ্টা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড - Shera TV
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

আ’লীগ সভানেত্রী হত্যা চেষ্টা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
৩২ বছর আগে নগরের লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মো. ইসমাঈল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৮৮ সালে লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালত ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলো- জে সি মণ্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। আসামিরা সবাই পুলিশ সদস্য ছিলেন।

এদের মধ্যে জে সি মণ্ডল পলাতক। বাকি চার আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চার আসামি এ মামলায় জামিনে ছিলেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) চার আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এসব ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে আসামিদের। হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ১৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ মোট ৫৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার ও সোমবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যুক্তিতর্কের সময় তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে জে সি মণ্ডল তার নিয়ন্ত্রিত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছিলাম আমরা। আসামিরা নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইলেও নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদিঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কোতোয়ালী জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মণ্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। এদের মধ্যে তিন আসামি মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদিঘির ঘটনায় নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360