স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে ভালো ফল করা উচিত বলে মনে করেন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
হেলথ সোপ ব্র্যান্ড লাইফবয়ের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিবের চুক্তি আরও তিন বছর বাড়ানো উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে তার অভিমত জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘আমি আশা করি, সবাই যেন নিরাপদে যেতে পারে এবং খেলে ফিরে আসতে পারে। অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সাফল্য নিয়ে আসতে পারে। শ্রীলঙ্কা শেষবার যখন গেল ৩-০ তে জিতে এসেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। তো আমাদেরও ভালো ফল করা উচিত।’
নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকায় নিজেকে কীভাবে করছেন জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘সেটার জন্য আমি ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের। বললাম– আমি অনেক কিছু করে আসছি এবং আসার পর কিছু প্রমাণিত হলো না, সেটার ফল ভালো হবে না, গ্রহণযোগ্যও হবে না। অপেক্ষা করেন সব ঠিকঠাক থাকলে উত্তর সময়ই বলে দেবে।’
জাতীয় দলের হয়ে খেলা মিস করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিসের সঙ্গে যদি আপনার সম্পৃক্ততা থাকে, সেটা আপনার পছন্দের হোক বা না হোক, আপনি সেটাকে মিস করবেন– এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার ক্ষেত্রেও ভিন্ন কিছু না।’
তবে ক্রিকেটের বাইরের বর্তমান জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতে চাইলেন না এ তারকা ক্রিকেটার। এ প্রসঙ্গে জানালেন, বাইরের জীবন ভিন্নভাবে কাটছে।’ সাকিব বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আমি খুব একটা শেয়ার করতে চাই না। যদি ওই রকম কোনো পরিস্থিতি আসে, তখন যদি মনে হয় শেয়ার করা দরকার, করব। তার আগে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব না।’
ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও জাতীয় দলের প্রধান কোচের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলেও জানালেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘(কোচের সঙ্গে) কথা হয় আমার নিয়মিত। প্রধান কোচের সঙ্গে কথা তো হয়ই। অবশ্য সব সময় কোচিং স্টাফের সঙ্গে কথা হলে যে খেলা নিয়েই হবে এমন না, কিন্তু অনেকের সঙ্গেই যোগযোগ আছে।’
লাইফবয়ের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানো প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে এন্ডোরসমেন্ট বা পারসোনাল কোনো সমস্যা, কনফ্লিক্ট তৈরি হবে বা এটার কারণে খারাপ হবে সম্পর্ক। এতদিন একটা জিনিস চলার পর এই জায়গাটা থাকে না। এখন আর আপনি ফাইনান্সিয়াল, এন্ডোরসমেন্ট ইত্যাদি আর চিন্তায় আসে না। একটা ব্রান্ডের সঙ্গে তখন পরিবারের মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।’
সেরা নিউজ/আকিব