অনলাইন ডেস্কঃআর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর উপর বর্তমান বিশ্ব অনেকাংশেই নির্ভরশীল।শুধু এখানেই শেষ নয় ধারনা করা হচ্ছে সেইদিন আর খুন বেশি দূরে নয় যেখানে পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হবে এআই দিয়ে নির্মিত টেকনলজির মাধ্যমে।তাই এআই ব্যবহারে নীতিমালা তৈরি করতে পশ্চিমা বিশ্বের আইন প্রণেতাদের কাছে আহবান জানিয়েছেন অ্যালফাবেট ও গুগল সিইও সুন্দর পিচাই।
এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ মাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে একটি আর্টিকেল লেখেন তিনি। সেখানে এআই ব্যবহারে লাগাম টানার পরামর্শ দেন। তার মতে, স্বয়ংক্রিয় গাড়ির জন্য নতুন নীতিমালার প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য খাতের মতো জায়গাগুলোতে নতুন নীতিমালার প্রয়োজন নেই। এখনকার নীতিমালা দিয়ে এআই নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রাংশের ব্যবহার একটি নিয়মের মধ্যে আনা সম্ভব।
তার মতে, এআই নিয়ে যে অনেক নতুন কিছু তৈরির সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি আছে বিপদ। উদাহরণ হিসেবে এআই সম্বলিত ডিপফেইক প্রযুক্তির কথা তুলে ধরেন তিনি। পিচাইয়ের মতে, তার কোম্পানি কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তা বাজারে আনার পর আইন প্রণেতারা তা ব্যবহারের নিয়ম বেধে দিতে পারেন না। এ বিষয়ে আগে থেকেই নীতিমালা থাকতে হবে। সবার মঙ্গল হবে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার দায়িত্ব তাদেরও।
পিচাই তার লেখায় কোনো প্রস্তাবনা তুলে ধরেননি। তবে সোমবার ব্রাসেলসের এক কনফারেন্সে ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।
গুগল এখন ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি বিক্রি করছে না। প্রযুক্তিটির অপব্যবহার করে জনগণের উপর নজরদারি করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই গুগল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট ও অ্যামাজন এই প্রযুক্তি বিক্রি করছে।
ইউরোপিয়ান কমিশনও জনবহুল স্থানে ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে চায়। এই প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে গবেষণার জন্য তারা এই সময়টাকে কাজে লাগাবে।
সূত্রঃবিবিসি ও দ্য ভার্জ