আকিব মাহমুদ:
রক্ষক যখন ভক্ষক- কথাটি হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের বেলায় অনেকাংশে সত্য। সুন্দর ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করা যাদের দায়িত্ব তারাই যাত্রী হয়রানির নায়কের ভূমিকা পালন করছেন। অসংখ্য অভিযোগ, মন্ত্রীপর্যায়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ, সিভিল এভিয়েশনের কড়া তদারকি, প্রশাসনিক নজরদারিসহ গোয়েন্দা বিভাগগুলোর নানামুখী তৎপরতার পরও বন্ধ হচ্ছে না হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি। কনকর্স হল, মূল ভবন, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস পোস্টসহ ঘাটে ঘাটে চলে হয়রানির মহোৎসব। যাত্রীদের লাগেজ প্রদানের ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ, যাত্রীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ না করা, হুমকি-ধমকিতে যাত্রীদের আতঙ্কিত করে তোলাসহ নানা রকম ভয় দেখিয়ে তাদের টাকা-পয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে একশ্রেণীর অসাধু বিমান কর্মচারী।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব যাত্রীদের হয়রানীর থেকে বাঁচাতে পাশে দাড়িয়েছেন র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন হয়রানীর শিকার যাত্রীরা প্রয়োজনে সরাসরি আমার মোবাইল ফোনে ( ০১৭১২২০৭২২৭) কল অথবা মেসেজের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সারওয়ার আরো বলেন যে কোন সমস্যা হলে তা রেকর্ড করে রাখবেন। আমাকে দিবেন। আমি ব্যাবস্থা নিব।
উল্লেখ্য যাত্রীদের নানান অভিযো পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত হবার পর বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এর তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন “এখানে আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এখানে আমাদের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, বাহিনী প্রধানগণ বা অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন- আপনারা যখন বিদেশে যান, তখন যেভাবে নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করা হয়, ঠিক সেইভাবে আমাদের বিমানবন্দরে করতে হবে এবং সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। সেখানে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবেন না।”
তিনি বলেন, “একটা কথা মনে রাখবেন- সারাদিন আমি দেশের কাজই করি। কোথায় টুকটাক কী হয় না হয়, সে খবরটা নেওয়ার চেষ্টা করি। কাজেই কেউ সেখানে কোনোরকম অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটালে সঙ্গে সঙ্গেই আমার কাছে খবরটা চলে আসে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী নজরদারিটা বাড়াতে হবে।”
সেরা নিউজ/আকিব