কী থাকছে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ? - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
কী থাকছে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ? - Shera TV
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন

কী থাকছে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ?

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

বহুল প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যেখানে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী রাখার অঙ্গীকার আছে।

তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রস্তাব করেছেন এবং পশ্চিম তীরের ইহুদী বসতির উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে মিস্টার ট্রাম্প বলেন, তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের জন্য “শেষ সুযোগ হতে পারে।”

এই প্রস্তাবকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এটি নাকচ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

“আমি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে বলছি: জেরুসালেম বিক্রির জন্য নয়, আমাদের সব অধিকার বিক্রি হবে না এবং এ নিয়ে দর কষাকষিও হবে না। এবং আপনাদের চুক্তি, ষড়যন্ত্র পাস করা হবে না,” পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের সমাধান করার লক্ষ্যে এই পরিকপনা তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।

এর আগে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, সেসময় পশ্চিম তীরে সেনা মোতায়েন জোরদার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

এই যৌথ ঘোষণা এমন এক সময় আসলো যখন মিস্টার ট্রাম্প এবং মিস্টার নেতানিয়াহু উভয়ই নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।

মার্কিন সেনেটে অভিশংসনের বিচারের মুখে রয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প এবং অন্যদিকে মঙ্গলবার মিস্টার নেতানিয়াহুর দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে করা প্রস্তাব বাতিল হয়েছে। দুজনই কোন ধরণের অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছেন।

ইসরায়েলে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান বলেন, এই ঘোষণার সময়টা কোন রাজনৈতিক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে নির্ধারণ করা হয়নি, এটা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তৈরি করাই ছিল।

এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয় যে মিস্টার নেতানিয়াহু দখলকৃত পশ্চিম তীরের ৩০% ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার কথা ভাবছেন, এ বিষয়ে রোববার মন্ত্রীসভার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

পশ্চিম তীরের বসতিতে চার লাখেরও বেশি ইসরায়েলি বাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি অবৈধ, যদিও ইসরায়েলের এনিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

মিস্টার ফ্রিডম্যান বলেন, পশ্চিম তীরের অংশ যুক্ত করা নিয়ে ইসরায়েলকে “মোটেই অপেক্ষা করতে হবে না।”

যা আছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়

“আজ ইসরায়েল শান্তির পক্ষে বড় ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে,” হোয়াইট হাউসে নিজের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের বলেন মিস্টার ট্রাম্প।

“আমার দূরদৃষ্টি বলছে, এটা উভয় পক্ষের জন্যই একটি জয়ের সুযোগ। এটি একটি বাস্তবসম্মত দ্বি-রাষ্ট্রের সমাধান।”

তার প্রস্তাবগুলো হলো:

•যুক্তরাষ্ট্র সেই সেসব এলাকার উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেবে যা মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েলের অংশ। এই পরিকল্পনায় একটি আনুমানিক মানচিত্রের কথা বলা হয়েছে যাতে মিস্টার ট্রাম্পের মতে, ইসরায়েল স্বেচ্ছায় কিছু ভূমি ছেড়ে দিতে চাইছে সীমানা নির্ধারণের সুবিধার জন্য।

•এই মানচিত্রটি “ফিলিস্তিনি ভূমির আয়তন দ্বিগুন করবে এবং পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি রাজধানী করার সুযোগ তৈরি করবে,” যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একটি দূতাবাস গড়বে বলে জানান মিস্টার ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন-পিএলও বলে, মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের তাদের উল্লেখিত “ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের” ১৫% এর উপর নিয়ন্ত্রণ দেবে মাত্র।

•জেরুসালেম “ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী থাকবে”। পবিত্র এই শহরকে নিজেদের বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ই। ফিলিস্তিনিদের দাবি অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমের যে অংশ দখল করে নিয়েছে তা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী।

•ফিলিস্তিনিদের জন্য “নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের সুযোগ” বলেছেন- কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

•”কোন ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিকেই তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করা হবে না”- এটা থেকে বোঝা যায় যে, ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বসতি থাকবে।

•ইসরায়েল জর্ডানের বাদশাহর সাথে কাজ করবে এটা নিশ্চিত করতে যে, জেরুসালেমে ইহুদীদের পবিত্র অঞ্চল টেম্পল মাউন্ট এবং মুসলিমদের আল-হারাম আল শরিফ যাতে সংরক্ষিত থাকে। এই অঞ্চলটি পরিচালনায় গঠিত ট্রাস্টটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে জর্ডান।

•মিস্টার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মানচিত্রে ফিলিস্তিনের জন্য যে ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে তা “চার বছরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং এতে কোন ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে না”। এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা চুক্তি সম্পর্কে পড়াশোনা করে, ইসরায়েলের সাথে সমঝোতা করবে এবং “রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মানদণ্ড অর্জন করবে।”

“ফিলিস্তিনিরা দরিদ্রতা এবং সহিংসতার মধ্যে রয়েছে, যারা তাদেরকে সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থায় গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তাদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে। আরো ভাল জীবন তাদের প্রাপ্য,” মিস্টার ট্রাম্প বলেন।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360