সেরা নিউজ ডেস্ক:
উন্নত সড়কনিরাপত্তা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াবে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব ব্যাপক। একটি শিশু যখন দুর্ঘটনায় নিহত হয় তখন পুরো পরিবারের ভবিষ্যত্ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতিই নয়, তার যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ছিল সেটিও শেষ হয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা একটি দেশের সম্ভাবনা এবং মানুষের বিকাশকে ক্ষুণ্ন করে।
অন্যান্য দেশের মতো সড়কনিরাপত্তার উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো দ্রুত হারে দারিদ্র্য হ্রাস করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাংক-জাতিসংঘের যৌথ আয়োজনে রোড সেফটি চ্যাম্পিয়ন ভিডিও কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সি শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে হার্টউইগ শেফার এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অর্থনীতির যে ক্ষতি হয় তার পরিমাণ বছরে জিডিপির তিন থেকে পাঁচ শতাংশের সমান। নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি দুর্ঘটনার পরবর্তী চিকিত্সাসেবা গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপো, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক নিয়ে ২৫ কোটি ডলার সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন বলেন, প্রতিবছর বিশ্বে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য শিশু। নিরাপদ সড়ক গড়তে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণদের উত্সাহিত করবে। ভবিষ্যতে আরো নতুন ধারণা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেরা নিউজ/আকিব