ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। চোর ডাকাতের গুলি, ডাকাতের দেয়া আগুনে পুড়ে ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এসব বাংলাদেশি প্রবাসীদের মৃত্যু হয়।
অপরাধপ্রবণ দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসলেও বিগত ২০১৯ সাল থেকে এদেশে বাংলাদেশির মৃত্যুর হার আশংকাজনক হারে বেড়েছে।
অধিকাংশ বাংলাদেশিরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা বানিজ্য করার কারণে প্রতিনিয়ত চোর ডাকাতের টার্গেট হয়ে থাকে।
সাধারণত দোকানপাটে চুরি ডাকাতির সময় অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কিছু কিছু মৃত্যু বাংলাদেশিদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ব্যবসায়িক শত্রুতা ও নারী সংঘটিত কারণে ঘটে থাকে। যে সব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়না।
এদিকে চলতি জানুয়ারি মাসে সর্বপ্রথম বাংলাদেশি নাগরিক খুনের শিকার হয় ১৩ জানুয়ারি।
দেশটির ইষ্টার্ণক্যাপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথ শহরে বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হারুন টাকা নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ার সময় নিজ গাড়িতে ডাকাতের গুলিতে নিহত হয়।
নিহত হারুনের বাড়ি ফেনীর দাগন ভূঁইয়া। ২২ জানুয়ারি শাকিল আহামদ নামে আরেক বাংলাদেশি নাগরিক নিজ দোকানে ডাকতের গুলিতে প্রান হারান।
নিহত শাকিলের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে।অপর দিকে ২৫ জানুয়ারি আবুল হাসনাত ও নুর মোহাম্মদ নামে অপর দুই বাংলাদেশি নিহত হয়।নুর মুহাম্মদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
নুর মুহাম্মাদের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরশরাইতে এবং একইদিন আবুল হাসনাত নিজ দোকানের কর্মচারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়।আবুল হাসনাতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।
২৬ জানুয়ারি উওম বনিক নামে আরেক প্রবাসী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জোহানসবার্গ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। উওম বনিকের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদ আলী নামে আরেক প্রবাসী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মোহাম্মদ আলীর বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে।
সর্বশেষ ২৯ জানুয়ারি মুহাম্মদ বায়োজিদ নামে আরেক বাংলাদেশি নিজ দোকানে ডাকাতের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহত বায়েজিদের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জে। এ নিয়ে নানা ঘটনা দুর্ঘটনায় মোট ৮ জন বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সেরা নিউজ/আকিব