স্পোর্টস ডেস্ক:
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পুরো একদিনও ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টেস্টের একদিনে নিয়মানুসারে ৯০ ওভার খেলা হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৭.১ ওভার আগেই অলআউট মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। মোহাম্মদ মিঠুনের ৬৩ আর তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
শুক্রবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে পাকিস্তানের মাঠে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন জাতীয় দলের এ তরুণ ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান নাজমুল হোসেন। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১০ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর মাত্র ৬৬ রানের ব্যবধানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন কুমার দাস। তাদের বিদায়ে ১৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৫৫.৩ ওভারে ১৬১ রানে ৬ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন মিঠুন। সপ্তম উইকেটে ২৩.২ ওভার খেলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। প্রথম দিনের খেলা শেষ হতে তখন আর মাত্র বাকি ছিল ১১.১ ওভার।
খেলার এমন অবস্থায় দলীয় ২১৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। হারিস সোহেলের বলে মিড-অপে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৭২ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন তিনি।
তাইজুলের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারেননি পেসার রুবেল হোসেন। দলীয় ২২৯ রানে ফেরেন তিনি। এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া মিঠুন নাসিম শাহর বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজোয়ানের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ২৩৩ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১৪০ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে ফেরেন মিঠুন।
এরপর মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে রান আউট হন পেসার আবু জায়েদ রাহী। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩/১০ (মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, লিটন ৩৩, মাহমুদউল্লাহ ২৫, তাইজুল ২৪, তামিম ৩, রুবেল ১; শাহিন ৪/৫৩)।
সেরা নিউজ/আকিব