পুঁজিবাজারে আনা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
পুঁজিবাজারে আনা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক - Shera TV
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে আনা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক:
ক্ষতিগ্রস্ত বাজারকে শক্তিশালীসহ সম্প্রসারণ করতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংককে পুঁজিবাজারে আনা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংক। বর্তমান রূপালী ব্যাংক তালিকাভুক্ত আছে। তবে এর শেয়ার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকবে। এ সব কার্যক্রম সমন্বয় করবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

রোববার রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মন্ত্রী বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির একটি খাত (রফতানি) ছাড়া সব ভালো আছে। আর অর্থনীতিকে একটি খাতের জন্য খারাপ আছে বলা যাবে না। আমাদের মূল অর্থনৈতিক এলাকায় কোথাও কোনো খারাপ সংকেত দিচ্ছে না। প্রত্যেক দেশেই সব খাত যে সমভাবে চলবে এমনটি নয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতির বিবেচনায় আমাদের অবস্থা ভালো আছে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। একটা জায়গা নিয়ে সব সময় আমরা চিন্তাগ্রস্ত, সেটি হচ্ছে পুঁজিবাজার। যে কোনো মূল্যে বাজার শক্তিশালী করতে চাই। এ জন্য চারটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরমধ্যে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে বেসরকারি খাতে। আর শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন অন্য তিন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শেয়ার পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ সব শেয়ার একযোগে বাজারে ছাড়া হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ভালো মৌল ভিত্তির কোম্পানির শেয়ার অফলোডের কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো শেয়ার ছাড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়। কারণ ব্যাংকগুলোর মালিক রাষ্ট্র, যে কোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতিতে গ্যারান্টার রাষ্ট্র নিজেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে পুঁজিবাজার এ রকম হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। লক্ষ্যণীয় হচ্ছে বাজারে কিছুটা মিসম্যাচ রয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণও কম। এর ফলে কিছু সময় বাজারে ভলাটিলিটি (বিশৃঙ্খল) বেশি থাকে। এই কারণে বাজার কমে গেলে খারাপ ইঙ্গিত বহন করে। এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারে যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো পুঁজিবাজারে আসা উচিত সেগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব।’

কবে নাগাদ এ সব শেয়ার বাজারে আসবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অক্টোবারের পরে যাব না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মাধ্যেই এগুলো করা হবে। আর এ বছরের মাঝেই ভালো কাজ যা আছে করে ফেলব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, সোনালী ব্যাংকেও আমরা নিয়ে আসব। তবে এটাতে একটু সময় লাগবে। বাকি চারটা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হবে। কাজগুলো হয়তো দুই পর্যায়ে হতে পারে। সেপ্টেম্বরের মাঝেই কাজগুলো করতে চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। তারাই সরকারকে টাকা দিচ্ছে। তাই এখন আর রিফাইন্যানন্সিং-এর দরকার পড়ছে না। প্রত্যেকটা ব্যাংকই লাভজনক।’ এ মুহূর্তে অবকাঠামো খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি। অর্থনীতি যেখানে উঠা-নামা করে সেগুলোতে আমরা হাত দিব। এ জন্য আমাদের ব্যাংক-বীমা খাত দেখতে হবে। এগুলো ঠিক করতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো দূর করা হচ্ছে। আইনি কাঠামোতে সমস্যাগুলো দূর করছি।

‘এনবিআর ও ব্যাংকিং খাত দেখার জন্য আদালতে আমরা দুটো ডেডিগেটেড বেঞ্চ পেয়েছি। যার ফলে আমাদের মামলার সংখ্যা কমে যাবে। অপরাধী অপরাধ করলে মামলা করতে হবে, এবং সেটার রায় দ্রুত হবে। এতে করে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে পাওয়ার সেক্টর থেকে লাভজনক সাতটি প্রাতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাতটির মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে আনা হবে বাকি দুই-দুইটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজার শক্তিশালী করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে বাজার বাজারের মতো থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকার করে না। আমরা যদি কোনো সহায়ক ভূমিকা রাখি এর উপকার পাবে জনগণ। বাজারে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসতে পারি এটা যাবে জনগণের কাছে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360