আকিব মাহমুদ:
সুইডেন, উত্তর ইউরোপের একটি দেশ। বর্তমান বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা এই দেশটি শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান বিশ্বে বেশ এগিয়ে আছে। আধুনিক গবেষণা, শিক্ষার মান, আকর্ষণীয় বৃত্তি ইত্যাদি সুযোগের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের তালিকায় এই দেশটি একেবারে শীর্ষে। প্রিয় পাঠক, আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সুইডেনে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের পড়ার সুযোগ এবং সাম্প্রতিক স্কলারশিপ বিষয়ে।
The Swedish Institute Study Scholarships (SISS) সংক্ষেপে SI স্কলারশিপ নামে পরিচিত। এই স্কলারশিপের আবেদন করতে হয় বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরে।
পড়াশোনার বিষয়: এ দেশটিতে যে সকল বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে সেগুলো হলো- পরিবেশ বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ, টেলিকমিউনিকেশন, আইন, গণিত, জনস্বাস্থ্য, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, মেডিকেল, অর্থনীতি, ভূগোল, হিউম্যান রিসোর্স, হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম ও মিডিয়া, লাইফ সায়েন্স ইত্যাদি।
স্কলারশিপের বর্ণনা : এই স্কলারশিপ দেয়া হয় মাস্টার্স স্টাডির জন্য। দুই বছর (চার সেমিস্টার) ফুল স্কলারশিপ দেয়া হবে। প্রথমে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) বৃত্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে কোর্স ও সেমিস্টারের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় বছরের বৃত্তি দেয়া হয়। কারণ অনেকে যথা সময়ে কোর্স ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে ব্যার্থ হয়।
যা পাবেন : প্রতি মাসে ১০,০০০ সুইডিশ ক্রোনর মানে ৯১ হাজার টাকা বৃত্তি দেয়া হয়। ভ্রমণের জন্য এককালীন ১৫০০০ সুইডিশ ক্রোনর বা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৮ টাকা দেয়া হবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়:
১. এসএসসি এবং এইচএসসি তে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
২. ব্যাচেলরে কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।
৩. ব্যাচেলর/মাস্টার ডিগ্রি এবং এমবিএ এর জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে।
আবেদনের সময়: সুইডেনে বছরে দুটি সেমিস্টার রয়েছে। একটির মেয়াদ আগস্টের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং অপরটি মধ্য জানুয়ারি থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত। বর্তমানে অটাম- ২০১৮ (আগস্ট-২০১৮) সেশনের সময়সীমা ১৬ অক্টোবর ২০১৭ থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত।
আবেদন করবেন যেভাবে : আবেদনের প্রথম ধাপেই একটি সাইট সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত। সেটি হলো www.universityadmissions.se ; এখান থেকেই শুরু করতে হবে।
সাইটে গেলেই দেখা যাবে লেখা আছে, Start your journey here! এই সাইটে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। এটা আবশ্যক(Must)। একাউন্ট খুলতে গেলে দুটি অপশন থাকে। বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে গেলে ডান দিকের অপশন ফলো করতে হবে (No I don’t have Swedish personal ID number!) একাউন্ট খুলে ফেলুন এখনই! মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, নিজ নিজ একাউন্টের মাধ্যমে সকল প্রকার আবেদন করতে হবে।
দুইটি রাউন্ডে আবেদন করতে হবে ১৫ জানুয়ারী / ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০, আনুমানিক ৩০০ স্কলারশিপ বৃত্তি পাওয়া যাবে
প্রথম রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আবেদনের পূর্বে আবেদন ফি বাবদ ৯০০ (নয় শত) সুইডিশ ক্রোনর pay করতে হবে। ব্যক্তিগত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আবেদনের টাকা পে/ট্রান্সফার করা যাবে।
যা লাগবে : চারটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে এখনই।
মোটিভেশন লেটার/কাভার লেটার(Motivation Letter), CV, দুইটি রেফারেন্স লেটার, পাসপোর্ট (স্ক্যান)। CV হতে হবে ইউরোপিয়ান স্টাইলে।
Motivation letter এবং রেফারেন্স লেটারের ফরমেট নিজের ইচ্ছেমতো হলে চলবে না। সেটার জন্যও নির্দিষ্ট ফরমেট(SI format) অনুসরন করতে হবে।
সেরা নিউজ/আকিব