‘লাইক’ দেওয়াও অপরাধ - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
‘লাইক’ দেওয়াও অপরাধ - Shera TV
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

‘লাইক’ দেওয়াও অপরাধ

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক বা ভুয়া আইডি খোলা অপরাধ। এছাড়া ক্ষতিকারক বিষয়ে (মন্তব্য, সংবাদ, ছবি, ভিডিও, অডিও) প্রকাশ করা এবং এতে মন্তব্য, শেয়ার কিংবা লাইক দেওয়াও অপরাধ। এসব করলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব কনটেন্টকে (সংবাদ, মন্তব্য, ভিডিও, অডিও) ক্ষতিকারক বলি, সেগুলোকে তিনটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। পর্নোগ্রাফি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে অসত্য সংবাদ, গুজব, ঘৃণা ছড়ানো এবং জঙ্গি উপাদান। এ তিন ধরনের কনটেন্টে লাইক দেওয়া, শেয়ার করা, মন্তব্য করা কিংবা এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস আপলোড করা অপরাধ।’ পর্নোগ্রাফি আইন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধিকাংশ অপরাধই অজামিনযোগ্য। এসব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিয়ে গ্রেফতারের সুযোগ রয়েছে পরোয়ানা ছাড়াই।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে ফেক আইডি খোলা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী অপরাধ। শুধু ফেক আইডি খোলার অপরাধেই কাউকে সাজার আওতায় আনা সম্ভব। আমরা যখন কোনো ফেক আইডি চিহ্নিত করতে পারি কিংবা বুঝতে পারি সেখান থেকে ক্ষতিকর জিনিস ছড়ানো হচ্ছে—তখন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি।’

সরকারের কাছে ক্ষতিকারক মনে হলেও (ফেসবুকের) কমিউনিটির স্ট্যান্ডার্ডের স্বার্থের কারণে ফেসবুকের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন মনিরুল ইসলাম।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের আইনে কেউ সিমকার্ড কিনতে গেলে এনআইডি দিতে হয়। অর্থাত্ ১৮ বছরের নিচের কেউ সিমকার্ডের মালিক হতে পারে না। কিন্তু ফেসবুকের নীতি অনুযায়ী, কেউ ১৩ বছরের ওপরে হলেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।’ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১৮ বছরের বাধ্যবাধকতা ও এনআইডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেসবুকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার হেড অব পলিসি প্রোগ্রামস শেলি থাকরাল এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

এ সময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, ‘সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করা এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করা কোনো সমাধান হতে পারে না। কারণ এটি একই সঙ্গে বিশাল জ্ঞান ও তথ্যের উত্স হিসেবে কাজ করে, যা আজকের এই বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজন।’

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360