কি আছে ট্রাম্পের এই গাড়িতে? - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
কি আছে ট্রাম্পের এই গাড়িতে? - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

কি আছে ট্রাম্পের এই গাড়িতে?

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। উপলক্ষ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসছেন বলে কথা। তার নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখবে না ভারত সরকার।

ফাঁক রাখবে না আমেরিকাও। সুদূর আমেরিকায় বসেও প্রেসিডেন্টের উপর কড়া নজর রাখবে হোয়াইট হাউস। এসবই সম্ভব হবে, প্রেসিডেন্টের কনভয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নির্মিত বিশেষ গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’-এর জন্য। প্রেসিডেন্টের গাড়িতে এমন সব অত্যাধুনিক সুবিধা আছে, যা জানতে তাক লেগে যাবে। এক কথায় ঠিক যেন সাঁজোয়া গাড়ি।
জানালা: মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়ির জানলায় পাঁচটি স্তর আছে। তা কাচ এবং পলিকার্বনেট দিয়ে নির্মিত। শুধুমাত্র চালকের পাশের জানালা ছাড়া আর কোনও জানালার কাচই নামানো যায় না। চালকের পাশের জানলার কাচ মাত্র তিন ইঞ্চি নামানো যায়। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে যাবে এমন বুলেটও এই গাড়ির জানালার কাচ ভেদ করতে পারবে না।

বডি: গাড়ির বডি তৈরি হয়েছে স্টিল, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম এবং সেরামিকস‌-এর কম্বিনেশনে। যা পাঁচ ইঞ্চি মোটা এবং অত্যন্ত শক্ত।

নিরাপত্তা: গোটা গাড়িটাই নিরাপত্তায় মোড়া। গাড়ির মধ্যেই পাম্প অ্যাকশন শটগানস‌, কাঁদানে গ্যাস এবং‌ জরুরি অবস্থার জন্য প্রেসিডেন্টের জন্য সব সময় মজুত রাখা হয় রক্তের ব্যাগ। আছে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র।

চালক: মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই চালক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। চালকের হাত এতটাই পোক্ত যে, যে কোনও পরিস্থিতিতে সুদক্ষভাবে গাড়ি চালাতে উস্তাদ তিনি। বিপদের আঁচ পেলেই দ্রুত প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেবেন। তিনি ১৮০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারেন গাড়িকে।

সামনে: কোনও সাঁজোয়া গাড়ির থেকে কম নয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই গাড়ি। গাড়ির সামনে রয়েছে কাঁদানে গ্যাসের গ্রেনেড লঞ্চার এবং নাইট ভিশন ক্যামেরা।

পিছনের আসন: প্রেসিডেন্টের গতিবিধির উপর সরাসরি যোগাযোগ রাখে পেন্টাগন। তার জন্য পিছনের সিটে স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। যার সাহায্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পিছনের আসনে আরও চার ব্যক্তি বসতে পারেন। চালক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে একটি কাচের পার্টিশন আছে। যার সুইচ আছে প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্ট চাইলে তবেই সেই কাচের পার্টিশন নামবে। এছাড়া প্রেসিডেন্টের কাছে আছে একটি প্যানিক বোতাম এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা।
গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক: বিস্ফোরণ প্রতিরোধক ফোম দিয়ে পরিপূর্ণ গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক। সরাসরি ট্যাঙ্কের মধ্যে হামলা হলেও কোনও বিস্ফোরণ হবে না।

টায়ার এবং কাঠামো: ছোটখাটো প্রতিটা বিষয়ের উপরই নজর দেওয়া হয়েছে। স্টিল রিমের এই টায়ার কখনও ফাটবে না। আর যদি তা কখনও ঘটে থাকে, অর্থাৎ টায়ার যদি ফেটেও যায়, তা হলেও গাড়ি চালাতে চালকের কোনও অসুবিধা হবে না। এমন প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছে টায়ার। গাড়ির পুরো কাঠামোতেই স্টিল রয়েছে, যা বোমা এবং মাইন থেকে গাড়িকে রক্ষা করবে।

প্রেসিডেন্টের এই গাড়িতে অত্যাধুনিক সেন্সর লাগানো আছে। কোনও রকম নিউক্লিয়ার, কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল হামলার আগেই তা বুঝে নেয় এই সেন্সর এবং সেই মতো প্রতিক্রিয়াও জানায় গাড়ি।

ওয়াচটাওয়ার: এই গাড়ি সঙ্গে লাগানো আছে উলম্ব অ্যান্টেনা, যা খুব সহজেই যাতায়াতের রাস্তায় যে কোনও কমিউনিকেশনকে এবং একই সঙ্গে রিমোট ডিটোনেটিং ডিভাইসকে জ্যাম করে দিতে সক্ষম। মানবহীন এয়ার ভেহিকলকেও শনাক্ত করতে সক্ষম এই গাড়ি।

সহযোগী গাড়ি: প্রেসিডেন্টের কনভয়ে আরও অনেকগুলো গাড়ি থাকে। যার একটিতে থাকে প্রেসিডেন্টের চিকিতৎসক, ক্যাবিনেট মেম্বার। এছাড়া প্রেসিডেন্টের গাড়ির ঠিক পিছনে থাকে হাফব্যাক, যাতে থাকেন সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন। সূত্র: আনন্দবাজার

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360